শিরোনাম:
●   যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বৈঠক ●   ফেসবুকে রোহিঙ্গাবিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে ছিল সামরিক বাহিনী: জাতিসংঘ ●   বাংলাদেশে রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে ●   পরিবেশ দূষণে দেশে বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ: বিশ্বব্যাংক ●   ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর পুরস্কার নিয়ে যা বলছে ইউনূস সেন্টার ●   বাংলাদেশ থেকে আম কাঁঠাল আলু পাটজাত পণ্য নিতে চায় চীন ●   রাজধানীতে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং,গডফাদারদের খুঁজে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা ●   গাজায়- ইসরাইলি গণহত্যা বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার ●   জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞকে ইসরায়েলর হুমকি ●   মুক্তিকামী জনতার ওপর গুলি চালায় মেজর জিয়া: শেখ হাসিনা
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » তালেবান নিয়ন্ত্রণে কেমন চলছে আফগানিস্তানের জনজীবন?
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » তালেবান নিয়ন্ত্রণে কেমন চলছে আফগানিস্তানের জনজীবন?
৬৯১ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তালেবান নিয়ন্ত্রণে কেমন চলছে আফগানিস্তানের জনজীবন?

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের গ্রহণের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এ সময়ে নগদ অর্থ সরবরাহ কম গিয়ে দেশটির অর্থনীতির সংকট আরও গভীরতর হয়েছে। একই সাথে জীবনের নানা ক্ষেত্রেও প্রভাব দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে সেখানে।

আফগানিস্তান-উজবেকিস্তান সীমান্তে গিয়েছিলেন বিবিসির এই সংবাদদাতা । সেখানে একটি সেতু পেরিয়ে নতুন “ইসলামিক আমিরাতে” ঢুকছিলো একটি মালবাহী কার্গো ট্রেন।

সীমান্তে উজবেকদের উল্টো দিকে তালেবানের সাদা কালো পতাকা উড়ছিলো। কিছু ব্যবসায়ী তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছে।

গম বোঝাই একটি ট্রাকের চালক বিবিসি সংবাদদাতাকে বলেন যে এর আগে চেকপয়েন্ট পার হওয়ার সময় দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হতো।

“এখন আর সেটি নেই। আমি কাবুলের পথে ড্রাইভ করে যেতে পারি কোন পয়সা না দিয়েই,” বলছিলেন তিনি।

গত পনেরই অগাস্ট আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। দেশটিতে এখন নগদ টাকার সংকট। অর্থনীতিও গভীর সংকটে।

ব্যবসায়ী সম্প্রদায় জানিয়েছে বাণিজ্য কমেছে ব্যাপকভাবে, কারণ আফগান আমদানিকারকরা অর্থ দিতে পারছে না।

হাইরাতান বন্দরে তালেবানের হেড অফ কাস্টমস মৌলভী সাইদ বলছেন, বাণিজ্য বাড়াতে তারা শুল্ক কমিয়ে দিচ্ছেন এবং সম্পদশালী ব্যবসায়ীরা দেশে ফিরুক, সেটিকে তারা উৎসাহিত করতে চান।

“এটি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে। আর পরবর্তী জীবনে ব্যবসায়ীরা পুরস্কৃত হবেন,” বলছিলেন তিনি।দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম শহর মাজার ই শরীফ থেকে এক ঘণ্টা ড্রাইভ দূরত্বে মানুষের জীবনযাত্রা মনে হল স্বাভাবিক, যদিও অনেকে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন।

বিবিসি সংবাদদাতা শহরের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র ব্লু মসজিদের দিকে যান। সেখানে তিনি অগাস্ট মাসেও গিয়েছিলেন। তবে তখনও তালেবান এসব দখল করেনি।

ওই সময় চত্বরটি ছিলো তরুণ নারী পুরুষে ভরা, যাদের অনেককেই দেখা গিয়েছিলো সেলফি তুলতে।

এখন তালেবান লিঙ্গভেদে আলাদা সময়সূচী ঠিক করে দিয়েছে: নারীরা সকালে আসবেন আর পুরুষরা দিনের বাকী সময়।

বিবিসি সংবাদদাতা যখন সেখানে যান, তখন সেখানে নারীর সংখ্যা ছিলো খুবই কম।

“সব ঠিক আছে। তবে হয়তো নতুন সরকারের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে মানুষের বেশ কিছুটা সময় লাগবে,” একজন নারী বলছিলেন।

হাজী হেকমত বলছিলেন ২০ বছরের পশ্চিমা নিয়ন্ত্রণের কথা
ছবির ক্যাপশান,
হাজী হেকমত বলছিলেন ২০ বছরের পশ্চিমা নিয়ন্ত্রণের কথা

স্থানীয় প্রভাবশালী তালেবান নেতা হাজী হেকমতের কাছে প্রশ্ন ছিলো যে ‘আপনারা হয়তো নিরাপত্তা দিচ্ছেন কিন্তু সমালোচকরা বলছে আপনার এখানকার সংস্কৃতিকে হত্যা করছেন”।

তিনি উত্তর দেন: “না”।

“গত বিশ বছরে এখানে পশ্চিমা প্রভাব ছিল। চল্লিশ বছর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ এক বিদেশী থেকে আরেক বিদেশীর কাছে গেছে। আমরা আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে হারিয়েছি। এখন আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনছি,” বলছিলেন মিস্টার হেকমত।

তার মতে, ইসলামে নারী পুরুষের মেলামেশা নিষিদ্ধ।

মিস্টার হেকমতকে মনে হল, মানুষের সমর্থনও উপভোগ করছেন। তবে কাছেই একজন বলছিলেন, “এরা ভালো লোক নয়”।

হয়তো তালেবানের ইসলাম সম্পর্কিত ব্যাখ্যা দেশটির রক্ষণশীল সমাজের সাথে খুব একটা আলাদা নয়। তবে বড় শহরগুলোতে এখনো তালেবানদের নিয়ে বিরাজ করছে গভীর সন্দেহ।

হাজী হেকমতের মতে, এটি বছরের পর বছর ধরে তালেবান বিরোধী প্রোপাগান্ডার ফল।

কিন্তু আত্মঘাতী বোমা হামলা কিংবা ‘টার্গেটেড কিলিং’ এর ইতিহাসও এজন্য কম দায়ী নয়।

ব্লু মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এক জায়গায় বড় একটি জটলা দেখা গেলো। সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চারটি মৃতদেহ শুইয়ে রাখা হয়েছিল। একজনের পরিচয় হিসেবে লিখে রাখা হয়েছিল ‘অপহরণকারী’ আর সতর্কতা ছিলো অন্য অপরাধীদের প্রতি যে শাস্তি হবে এমন।

লোকজন সেখানে ফটো তুলছিল এবং নিজেদের অতীত ভুলে সামনের দিকে তাকানোর চেষ্টা ছিল তাতে।

আফগানিস্তানের বড় শহরগুলোতে সহিংস অপরাধ দীর্ঘকালের সমস্যা। এখন তালেবানের সমালোচকরাও বলছেন, নিরাপত্তা বেড়েছে।

মাঝে পর্দা দিয়ে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা বসতে হবে শ্রেণীকক্ষে
ছবির ক্যাপশান,
মাঝে পর্দা দিয়ে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা বসতে হবে শ্রেণীকক্ষে

একজন বলছিলেন, “এরা অপহরণকারী হলে ঠিক শাস্তিই হয়েছে। অন্যদের জন্য এটি বড় শিক্ষা হবে।”

তবে শহরের অনেকেই আবার নিরাপদ বোধ করে না। আইনের ছাত্রী ফারজানা বলছিলেন, “যখনই ঘরের বাইরে যাই, তালেবানদের দেখি, ভয় লাগে।”

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা। কিন্তু সরকারিগুলো এখনো বন্ধ। তালেবানদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শ্রেণীকক্ষে ছেলে ও মেয়েদের এখন থেকে মাঝখানে পর্দা দিয়ে আলাদা বসতে হবে।

ফারজানার কাছে এটি ততটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও তার ধারণা তালেবান শেষ পর্যন্ত মেয়েদের কাজের অনুমতি দিবে না।

এ মূহুর্তে যদিও শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া নারীদের নিরাপত্তার জন্য ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।

“এ মূহুর্তে আশাহত লাগছে নিজেকে, কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী হতে আমি আমার সর্বোচ্চটাই করে যাবো,” বলছিলেন ফারজানা।

এর আগেরবার যখন তালেবান ক্ষমতায় ছিল, তখন নিয়ননীতি আরও কঠোর ছিল। মেয়েরা তখন পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাইরে বের হতে পারতো না।

আফগান শহরগুলো এখন সেই ভীতিই তৈরি হয়েছে যে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে ওই রকমই হবে।

দেশটির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বহু মানুষের হৃদয় জয় করা থেকে অনেক দূরেই আছে তারা।

হাজী হেকমত বলছিলেন, “সামরিকভাবে দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়া ছিল কঠিন। কিন্তু আইনের শাসন বাস্তবায়ন করা ও একে সুরক্ষা দেয়া আরও কঠিন।”



এ পাতার আরও খবর

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বৈঠক
ফেসবুকে রোহিঙ্গাবিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে ছিল সামরিক বাহিনী: জাতিসংঘ ফেসবুকে রোহিঙ্গাবিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে ছিল সামরিক বাহিনী: জাতিসংঘ
গাজায়- ইসরাইলি গণহত্যা বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার গাজায়- ইসরাইলি গণহত্যা বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞকে ইসরায়েলর হুমকি জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞকে ইসরায়েলর হুমকি
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জাতিসংঘের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জাতিসংঘের
যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়েছে সেতু যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়েছে সেতু
জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অপেক্ষা করে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অপেক্ষা করে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বনেতাদের শুভেচ্ছা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বনেতাদের শুভেচ্ছা
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

আর্কাইভ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বৈঠক
ফেসবুকে রোহিঙ্গাবিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে ছিল সামরিক বাহিনী: জাতিসংঘ
বাংলাদেশে রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
পরিবেশ দূষণে দেশে বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ: বিশ্বব্যাংক
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর পুরস্কার নিয়ে যা বলছে ইউনূস সেন্টার
বাংলাদেশ থেকে আম কাঁঠাল আলু পাটজাত পণ্য নিতে চায় চীন
রাজধানীতে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং,গডফাদারদের খুঁজে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
গাজায়- ইসরাইলি গণহত্যা বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞকে ইসরায়েলর হুমকি
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার