শিরোনাম:
●   হামাস নেতাদের উপর বিদেশে আবারো হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল ●   ইসরায়েলকে ঠেকাতে ব্যবস্থা নেবেন আরব-মুসলিম নেতারা ●   তিস্তার জন্য বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে চীন ●   নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা করলেন ট্রাম্প ●   আপনাদের সঙ্গে পূজা উপলক্ষ্যে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়: প্রধান উপদেষ্টা ●   ইসরাইলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ইয়েমেনের ●   রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল ভারতের আসাম ●   লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা ●   জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদের ২০টিতেই জিতল ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ●   শিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২
BBC24 News
রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে শেষ মহূর্তে মতৈক্য
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে শেষ মহূর্তে মতৈক্য
৬৪৪ বার পঠিত
রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে শেষ মহূর্তে মতৈক্য

---বিবিসি২৪নিউজ, রুপা শামীমা, গ্লাসগোতে থেকেঃ  বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ ২৬) বেশ কিছু বিষয়ে অসন্তোষ থাকলেও শেষ মহূর্তে মতৈক্য হয়েছে। প্রায় ২০০টি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে।

নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর শনিবার রাতে চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়। দেশগুলো মতৈক্যে পৌঁছালেও অনেক দেশের মধ্যেই গভীর অসন্তোষ রয়েছে।

চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ ২৬) সভাপতি অলোক শর্মা একটি ‘ভারসাম্যপূর্ণ’ ঘোষণা প্রকাশ করেছিলেন। এটি ছিল ঘোষণার তৃতীয় খসড়া, যা আগের দুটি খসড়ার মতোই ধনী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যকার দূরত্ব ঘোচাতে পারেনি, বরং পরিবেশবাদীদের হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছিল।

বলা হয়, শনিবার গ্লাসগোতে প্রায় ২০০টি দেশের কূটনীতিকরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিকে সহায়তা করার জন্য আরও পদক্ষেপের ব্যাপারে মতৈক্য পৌঁছান। কিন্তু শেষ মুহুর্তে চুক্তি সম্পন্ন হলেও জলবায়ু সংকট ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।চুক্তিতে বিশ্বেনেতাদের কার্বন নির্গমন রোধে শক্তিশালী পরিকল্পনা নিয়ে আগামী বছর ফিরে আসতে বলার পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে ধনী দেশগুলোকে অন্তত দ্বিগুণ তহবিল দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া রোধের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো রক্ষা পাবে।

তবে জলবায়ু সম্মেলনে জড়ো হওয়া হাজারো রাজনীতিবিদ ও পরিবেশ কর্মীদের জরুরি দাবি সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত যে চুক্তি হয়েছে তাতে বৈশ্বিক উষ্ণতা সমস্যা সমাধান করা যায়নি। এতে পরবর্তী দশকে প্রতিটি প্রতিটি জাতিকে কতটা এবং কত দ্রুত নির্গমন কমাতে হবে সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি অমীমাংসিত রেখে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এতে অনেক উন্নয়নশীল দেশের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি তৈরি এবং ক্রমবর্ধমান চরম আবহাওয়ার বিপর্যয় মোকাবিলায় করার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ঘাটতি রয়ে গেছে। অসন্তোষ থাকলেও চুক্তিটি একটি সুস্পষ্ট ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করেছে যে সব দেশকে অবিলম্বে, বৈশ্বিক তাপমাত্রার বিপর্যয়কর বৃদ্ধি রোধ করতে আরও অনেক কিছু করতে হবে। চুক্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে আনা থেকে শুরু করে আরেকটি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস, মিথেন নির্গমন রোধ করার জন্য বিশ্বের যে নির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলো নেওয়া উচিত তার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে৷ এ ছাড়া লক্ষ্যে পৌঁছাতে অগ্রগতি বা ব্যর্থতার জন্য নির্দিষ্ট দেশকে দায়বদ্ধতা দেখাতে নতুন নিয়ম ঠিক করা হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে কয়লা নিয়ে ছাড়

চূড়ান্ত চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার কমানো বা ‘ফেজ ডাউন’ করার ভাষাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে সেখানে বন্ধ করা বা ‘ফেজ আউট’ করার কথা ছিল। ভারতের পক্ষ থেকে এ পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মেক্সিকো এবং অন্যান্য দেশের আলোচকদের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধি সিমোনেটা সোমারুগা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ে ভাষা পরিবর্তনের নিন্দা করেছেন।

সোমারুগা বলেন, ‘আমাদের ফেজ ডাউন প্রয়োজন নয়, আমাদের প্রয়োজন ফেজ আউট করা।’

সুইজারল্যান্ডের এই প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, শেষ মুহুর্তে কয়লার বিধান পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্যান্য দেশ থেকে কোন মতামত ছাড়াই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ পরিবর্তন বিষয়ে আর মতামতের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা প্রক্রিয়া এবং শেষ মুহূর্তের পরিবর্তন উভয় বিষয়েই হতাশ। এতে আমরা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রাখতে পারব না বরং লক্ষ্যে এটি লক্ষ্যে পৌঁছানো আরও কঠিন করে তুলবে।’

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা গেলে তা মানবজাতিকে জলবায়ুর সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে সাহায্য করবে।বিশ্ব নেতারা ২০১৫ সালে ব্যাপক নির্গমন হ্রাসের মাধ্যমে ১.৫ ডিগ্রি থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিশ্বকে উষ্ণতা বৃদ্ধি থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২.৭ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য এবং সম্মেলনের প্রধান সংগঠক অলোক শর্মা এই প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।



আর্কাইভ

হামাস নেতাদের উপর বিদেশে আবারো হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল
ইসরায়েলকে ঠেকাতে ব্যবস্থা নেবেন আরব-মুসলিম নেতারা
রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল ভারতের আসাম
লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা
জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদের ২০টিতেই জিতল ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
শিবিরকে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর অভিনন্দন
নেপালের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিলো সেনাবাহিনী
ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত
বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ