শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » নিউমার্কেট সংঘর্ষঃ নাহিদকে কেন কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে?
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » নিউমার্কেট সংঘর্ষঃ নাহিদকে কেন কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে?
৪০৭ বার পঠিত
রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নিউমার্কেট সংঘর্ষঃ নাহিদকে কেন কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে?

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকাঃ রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদকে কুপিয়েছে ঢাকা কলেজের ছাত্র ইমন। জানা গেছে, নাহিদকে কোপানোর যে ছবিটি গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, সেই ছবিটি ইমনের। সে ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি খুলনায়। সে কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ছাত্র।

ঘটনার দিন ইমন তার বাম হাতের ওপরের অংশে ও পায়ে ইটের আঘাতে আহত হন। ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, তার বাম হাত ছিল কাপড় দিয়ে বাঁধা। ইমনের সঙ্গে ভিডিওর ওই যুবকের চেহারার মিল খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। গোয়েন্দারা ঢাকা কলেজের যে দুই ছাত্রকে সন্দেহের আওতায় রেখেছেন, তাদের একজন ইমন। মামলা দায়েরের পর থেকে ইমনকে আর দেখা যায়নি। বন্ধ রয়েছে তার মোবাইল ফোন। ডিঅ্যাক্টিভ করা হয়েছে তার ফেসবুক আইডি। যদিও ঘটনার দিনও তার ফেসবুক আইডি সচল ছিল।

গোয়েন্দারা বলছেন, দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে অংশ নেওয়া ঢাকা কলেজের আরও কয়েকজন ছাত্রকে শনাক্ত করা হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের নেতৃত্বে থাকা চার জন ছাত্রের মধ্যে দুই জনকে হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ— এমনটা দাবি করছেন সাধারণ ছাত্ররা। তবে তাদের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি জানান, সেদিন চারটি গ্রুপে সংঘর্ষে অংশ নিয়েছিল ছাত্ররা। সংঘর্ষে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী-কর্মচারী গ্রুপ থেকে দলছুট হয়ে যাওয়ায় নাহিদ মূলত গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন। ছাত্রদের চারটি গ্রুপের অনেককেই নাহিদের ওপর চড়াও হতে দেখা যায়।

নাহিদকে প্রথমে যে দুজন মারধর শুরু করে, তারা হলো— কাইয়ুম ও সুজন ইসলাম। একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কাইয়ুম নীল ও সাদা রঙের চেকের টি শার্ট পরা। সে নাহিদকে রড দিয়ে আঘাত করে। হেলমেট না থাকায় সহজেই কাইয়ুমকে চেনা যায়। আর সুজন ইসলাম নাহিদকে ইটের আঘাত ও লাথি মেরে আহত করে। পরে নাহিদকে কোপাতে থাকলে

---

ইমনকে চড় মেরে সেখান থেকে সরিয়ে দেন সুজন ইসলাম। সুজন ইমনের সিনিয়র হওয়ায় ওই সময় চড় মেরে শাসন করতে পেরেছিল বলে মনে করেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।একাধিক ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে ব্যবসায়ীরা ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ধাওয়া দেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষে সামনে থেকে অবস্থান নিয়ে নাহিদও ছাত্রদের ধাওয়া দিয়েছিলেন। ছাত্ররা পাল্টা ধাওয়া দিলে ফিরে আসার সময় নূরজাহান মার্কেটের গেটের সামনে পা পিছলে মাটিতে পড়ে যান নাহিদ। আর ছাত্রদের মাঝে কয়েকজন এসে হাতের রড, লাঠি, ইট দিয়ে নাহিদকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এভাবে দুই থেকে তিন মিনিট পেটানোর পর নাহিদ নিস্তেজ হয়ে পড়েন। নাহিদকে মেরে ছাত্ররা পেছনে চলে যাওয়ার সময় রামদা হাতে কালো হেলমেট পড়া একজন ছাত্র এসে নাহিদকে কোপাতে থাকে। হলুদ হেলমেট ও লাল রঙয়ের গেঞ্জি পরা আরেক ছাত্র এসে নাহিদকে কোপাতে থাকা ছাত্রটিকে চড় মেরে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর ব্যবসায়ী পক্ষের যুবকরা নাহিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।নাহিদ হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘এটা খুবই সেনসিটিভ মামলা। অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে চলছে তদন্ত। এটা নিয়ে আমরা কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাই না। আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়েই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবো। কারণ, এখানে ছাত্রদের জীবন নিয়ে প্রশ্ন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেককেই চিহ্নিত করেছি। কিন্তু কারও পরিচয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা যখন নিশ্চিত হবো, তখনই গণমাধ্যমকে সব তথ্য জানানো সম্ভব হবে।’



আর্কাইভ

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নাটকীয় উন্নতি হয়েছে: জয়শঙ্কর
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নিহত ৫
ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক ‘স্বাভাবিক’ করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা চুক্তি সম্পন্ন: ব্লিংকেন
বাংলাদেশে ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার পর বন্ধের নির্দেশনা
বাংলাদেশে স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ভারতে কোনো স্বৈরাচার নেই: মোদি
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে অস্ট্রিয়া