শিরোনাম:
●   ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ ●   বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ●   বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ●   ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, নিষিদ্ধ হংকং-সিঙ্গাপুর ●   ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ●   ভারতে মানবাধিকার ব্যাপক লঙ্ঘন হয়েছে: মার্কিন প্রতিবেদন ●   স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরকারি দায়িত্ব থেকে দূরে থাকছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ●   যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি শেখ হাসিনার উদাত্ত আহ্বান ●   যুক্তরাষ্ট্র রাজনীতির থেকে সরে এলে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে কে : বাইডেন ●   হিট অ্যালার্ট আরও ৩ দিন বাড়ছে
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
সোমবার, ৬ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » আমেরিকা | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বার-বার বন্দুক হামলা, প্রশ্নের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা
প্রথম পাতা » আমেরিকা | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বার-বার বন্দুক হামলা, প্রশ্নের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা
৪১৫ বার পঠিত
সোমবার, ৬ জুন ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বার-বার বন্দুক হামলা, প্রশ্নের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা

---বিবিসি২৪নিউজ,মো.সুমন মিয়া (নিউইয়র্ক) যুক্তরাষ্ট্র থেকেঃ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধুকধারীদের হামলা অব্যাহত রয়েছে। বার-বার বন্ধুক হামলা- নিরাপত্তা দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে নিউইয়র্কবাসীকে। ঘরে কিংবা বাইরে, কোথাও কেউ নিরাপদ নয়। প্রতিদিন নগরের কোথাও না কোথাও ভয়াবহ ও প্রকাশ্য অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। নিউইয়র্ক সিটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা যেখানে, সেই স্কুলগুলোতেও হামলার হুমকি আসছে। ফলে সন্তানের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা। মধ্যবিত্তের ভরসা নিউইয়র্কে সাবওয়ে ট্রেন, সেখানে অবস্থা আরো বিপজ্জনক এখন। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতিতে এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় নগরবাসীর দিন কাটছে চরম আতঙ্কে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে নিউইয়র্ক সিটিতে গোলাগুলি বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন’শ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসব নিয়ে নগরজীবনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়লেও সম্প্রতি বাফেলোতে সুপারমার্কেটে গুলি করে ১০ জনকে এবং টেক্সাসের এলিমেন্টারি স্কুলে ১৯ শিশুসহ ২১ জনকে গুলি করে হত্যার পর এখন ছোটখাটো গুলির ঘটনা নগরবাসীকে চরম আতঙ্কিত করে তুলছে।
নিউইয়র্ক সিটির অপরাধ পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে পুলিশ কমিশনার কিচেন্ট সিওয়েল বলছেন, নিউইয়র্কে সিটির সড়কে গুলি ও খুনের ঘটনা বেড়েছে। এসব ঘটনায় আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল শহরটি পিছিয়ে যেতে পারে।
এদিকে দায়িত্ব গ্রহণের পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও মেয়র এরিক অ্যাডামস বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন যে সিটির অপরাধ দমনে পুলিশ এখনো লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেননি। হত্যাকাণ্ড হ্রাস পেলেও গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থাকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। অবশ্য, মেয়র অ্যাডামস আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, খুব শিগগির অবস্থার পরিবর্তন হবে।
নিউইয়র্ক সিটর হত্যাকাণ্ড তুলনামূলক হ্রাস পেয়েছে এবং এজন্য পুলিশকে কৃতিত্ব দিয়েছেন মেয়র অ্যাডামস। শুধুমাত্র মার্চ মাসে চার হাজারের বেশী অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
মেয়র ও পুলিশ কমিশনারের এ ধরনের আশাবাদ এমন এক সময়ে এসেছে যখন সিটিতে একের পর এক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। গত সপ্তাহে ব্রুকলিনে ১২ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়েছে সন্ত্রাসীদের ক্রসফায়ারে। ব্রঙ্কসে একটি বিপথগামী বুলেটের আঘাতে ৬১ বছর বয়সী একজন নারী নিহত হয়েছেন। এর আগে গত মাসে ব্রুকলিন ডে কেয়ারের বাইরে একটি ৩ বছর বয়সী শিশুর কাঁধে গুলি লাগে।
একের পর এক গুলিবর্ষণের ঘটনায় এক আতঙ্কের শহরে পরিণত হয়েছে নিউইয়র্ক সিটি। শুধু গোলাগুলি নয়, বিগত বছরগুলোর তুলনায় চুরি, ডাকাতি এবং দস্যুতার মতো অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা যা-ই বলুন না কেন, গবেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, নিউইয়র্কের খারাপ পুরানো দিনগুলিতে ফিরে যাচ্ছে। জন জে কলেজ অফ ক্রিমিনাল জাস্টিস-এর গবেষণা ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের পরিচালক জেফরি বাটসের মতে, বর্তমান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আমাকে নব্বই দশকের কথা মনে করিয়ে দেয়।
নিউইয়র্ক সিটিতে অপরাধ বেড়ে যওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। কারণ সন্ত্রাসীদের টার্গেট এশিয়ানরা। তাদের ওপর আক্রমণ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে এশিয়ানরা সাবওয়ে ট্রেনে চড়তে গিয়ে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে নিউইয়র্কের সাবওয়ে সিস্টেম ভয়াবহ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। অনেকেই ট্রেনে চড়া ছেড়ে দিয়েছেন। অনেকে নিরূপায় হয়ে ট্রেনে চড়লেও চরম আতঙ্কের মধ্যে থাকেন।
চলতি বছরের পাঁচ মাসে নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়েতে এ পর্যন্ত চারজন খুন হয়েছেন। সর্বশেষ গত ২২ মে ম্যানহাটনে কিউ ট্রেনের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ব্যাংক কর্মকর্তা ড্যানিয়েল এনরিকজ। এ ঘটনায় পুলিশ এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
গুলিবর্ষণ বেড়ে যাবার পাশাপাশি নগরীতে ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনাও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। সাম্প্রতিক সময়ে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আর এসব ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
গত ২৯ মে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের ব্রুকভিল বুলেভার্ডের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সামনে সন্ত্রাসীরা ওয়ালিক ওয়াটফোর্ড নামে ৩১ বছরের এক যুবককে গুলি করে। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে তাকে।
ওয়ালিক ওয়াটফোর্ডের খুনের ঘটনায় মোটেও বিস্মিত হননি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা। তারা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এর আগেও এই অ্যাপার্টমেন্টের সামনে আরো ছয়জন খুন হয়েছেন।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটন সবসময় নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে বলে মনে করা হয়। গত ২৬ মে বৃহস্পতিবার ম্যানহাটনের আপার ইস্ট সাইডের লেক্সিনটন অ্যাভিনিউ এবং ৬৩ স্ট্রিট সাবওয়ের কাছে প্রকাশ্য দিনের আলোয় এক ব্যক্তিকে উপর্যূপরী ছুরিকাঘাত করে মুখোশ পরা এক সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় সেখানকার পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীকে ধরতে পুলিশ ভিডিও প্রকাশ করেছে।



আর্কাইভ

ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, নিষিদ্ধ হংকং-সিঙ্গাপুর
ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ভারতে মানবাধিকার ব্যাপক লঙ্ঘন হয়েছে: মার্কিন প্রতিবেদন
স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরকারি দায়িত্ব থেকে দূরে থাকছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র রাজনীতির থেকে সরে এলে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে কে : বাইডেন
হিট অ্যালার্ট আরও ৩ দিন বাড়ছে
মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল ৯৫ বিলিয়ন সহায়তা বিল পাস