শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
BBC24 News
রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | লাইফস্টাইল | শিরোনাম | সাবলিড » একাত্তরে ভুল পক্ষ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র: জুনিয়র
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | লাইফস্টাইল | শিরোনাম | সাবলিড » একাত্তরে ভুল পক্ষ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র: জুনিয়র
৫৭৩ বার পঠিত
রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

একাত্তরে ভুল পক্ষ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র: জুনিয়র

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকাঃ একাত্তরে বাংলাদেশ বিষয়ে ভুল প জুনিয়র। রোববার, ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে মুক্তিযুদ্ধের মৌখিক ইতিহাস সংগ্রহ ও এর প্রদর্শনী ‘ভয়েসেস অব বাংলাদেশ: দ্য জার্নি টু ফিফটি’র উদ্বোধন করেন এডওয়ার্ড টেড এম কেনেডি জুনিয়র। রোববার, ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকার যখন পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল, সে সময় মুক্তিকামী বাঙালির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দেশটির সিনেটর প্রয়াত এডওয়ার্ড এম কেনেডি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে মতামত তৈরিতে কাজ করেছিলেন তিনি। আর স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসে তাঁর ছেলে এডওয়ার্ড টেড এম কেনেডি জুনিয়র অকপটে বললেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভুল পক্ষ নিয়েছিল।পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আট দিনের সফরে শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন টেড এম কেনেডি জুনিয়র। রোববার ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয় পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একাত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে ওই কথা বলেন তিনি।
টেড এম কেনেডি জুনিয়র বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমার বাবা বাংলাদেশে এসেছিলেন।

ঢাকায় তাঁকে দারুণভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা তিনি আমাদের বলেছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্য হিসেবে এখানে আসতে পেরে আমরা গর্বিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাবা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যুক্তরাষ্ট্র ভুল পক্ষ নিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আমরা খুবই খুশি।’দুপুরে সপরিবার বেঙ্গল শিল্পালয়ে উপস্থিত হন টেড এম কেনেডি জুনিয়র। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ক্যাথরিন কিকি কেনেডি, মেয়ে কাইলি কেনেডি, ছেলে টেডি কেনেডি, ভাতিজি গ্রেস কেনেডি অ্যালেন ও ভাতিজা ম্যাক্স অ্যালেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ছিলেন টেড এম কেনেডি জুনিয়রের চাচা। বেঙ্গল শিল্পালয়ে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবুল খায়ের, মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী, ট্রাস্টি জিনাত চৌধুরী, নউশীন খায়ের ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাক হিলস স্টেট ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আহরার আহমেদ।

---কেনেডি পরিবারের সামনে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। মধ্যাহ্নভোজের পর এই অতিথিদের সামনে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বেঙ্গল শিল্পালয়ে চলমান ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী ‘ভয়েসেস অব বাংলাদেশ: দ্য জার্নি টু ফিফটি’ ঘুরে দেখেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লা-ফেইভ, পাবলিক অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক কর্মকর্তা শন ম্যাকিনটোশ ও কালচারাল অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক কর্মকর্তা শারলিনা হুসেইন মরগ্যান।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্‌যাপন এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে মার্কিন দূতাবাস ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন যৌথভাবে মৌখিক ইতিহাস সংগ্রহের কার্যক্রম ‘ভয়েসেস অব বাংলাদেশ: দ্য জার্নি টু ফিফটি’ শুরু করে। স্বাধীনতা অর্জন ও পরবর্তী পাঁচ দশকে রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া বর্তমান বাংলাদেশের অজানা গল্পগুলো এখানে তুলে আনার চেষ্টা চলছে। এই কার্যক্রমের আওতায় দেশের নানা প্রান্তের মুক্তিযোদ্ধা, নারী, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী গবেষক-পেশাজীবী-লেখক, সমাজের অগ্রগণ্য ব্যক্তি, সংস্কৃতিকর্মী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের বক্তব্য সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বহুমাত্রিক ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরির মাধ্যমে অজানা এসব কথা ও গল্প দেশের মানুষকে জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরে (রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট) ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। ১৬ অক্টোবর রাজশাহীতে এই প্রদর্শনী শুরু হয়। ৩০ অক্টোবর শুরু হলো ঢাকায় বেঙ্গল শিল্পালয়ে। সপ্তাহজুড়ে চলবে এই প্রদর্শনী। মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীতে দেখা যাবে তথ্য ও ছবি, থাকছে অডিও-ভিডিও। পরে এগুলো ভয়েস অব বাংলাদেশ ডটস্পেস ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।‘ভয়েসেস অব বাংলাদেশ: দ্য জার্নি টু ফিফটি’র সমন্বয়ক, গবেষক ও আইক্যান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আইরিন খান বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণের চিত্র তুলে ধরেছি। সাধারণ নারীদের ১৯৭১ সালের আত্মত্যাগ ও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককেও উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির সন্তান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশকে ভিন্নমাত্রায় জানার সুযোগ পেয়েছেন।’

মৌখিক ইতিহাস সংগ্রহ কার্যক্রম ‘ভয়েসেস অব বাংলাদেশ: দ্য জার্নি টু ফিফটি’ বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। প্রদর্শনী ঘুরে দেখে এডওয়ার্ড টেড এম কেনেডি জুনিয়র বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। সেই যুদ্ধে মানুষের অংশগ্রহণ এবং মুক্তির গল্প ভয়েসেস অব বাংলাদেশ প্রদর্শনীতে এসে দেখার সুযোগ পেলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অগ্রগতি নিয়ে আমরা গর্বিত।’



আর্কাইভ

মার্কিন সিনেটে ইউক্রেন-ইসরায়েল ৯৫ বিলিয়ন সহায়তা বিল পাস
জলবায়ু পরিবর্তন ও চরম আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া: ডব্লিউএমও রিপোর্ট
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা
কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বিশ্বের ৭০% শ্রমিক
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ইরানের রাষ্ট্রপতির পাকিস্তান সফর
ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ
মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল ও ড্রোন হামলা