শিরোনাম:
●   রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ ●   ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট ●   আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৫০০, চলছে উদ্ধারকাজ ●   নুরের শারীরিক অবস্থা অবনতির আশঙ্কা, মেডিকেল বোর্ড গঠন ●   আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম পিটিয়েছে: বুয়েট শিক্ষার্থী রাফিদ ●   লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা ●   বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমছে সাড়ে ৫ বছর ●   বাংলাদেশ-পাকিস্তান ‘ঘনিষ্ঠতা’ ভারতের উদ্বেগ ●   চীনের প্যারেডে যাচ্ছেন পুতিন-কিম, আমন্ত্রণ পাননি পশ্চিমা কোন নেতা ●   বায়ুদূষণে শীর্ষে দুবাই, ঢাকার অবস্থা যা জানা গেল!
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২
BBC24 News
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আমেরিকা | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা সিআইএর
প্রথম পাতা » আমেরিকা | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা সিআইএর
২১৯ বার পঠিত
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা সিআইএর

---বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ তার অজ্ঞাতসংখ্যক কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই কর্মীরা সংস্থাটির রিক্রুটিং ও ডাইভারসিটি নিয়ে কাজ করে থাকেন। সিআইএর সাবেক কর্মকর্তারা বলেছেন, সংস্থাটির ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাইয়ের অন্যতম ঘটনা।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের জনশক্তিতে বৈচিত্র্যের সন্নিবেশ ঘটানো বা ডাইভারসিটির প্রচেষ্টা নিষিদ্ধ করে এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায় সম্ভাব্য গণছাঁটাইয়ের ওই উদ্যোগ তাঁর এ আদেশেরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

বাধ্যতামূলক প্রশাসনিক ছুটিতে থাকা কর্মকর্তাদের গত শুক্রবার ডাকতে শুরু করে সিআইএ। এরপর তাঁদের পদত্যাগ করতে বলা হয়, নয়তো বরখাস্তের শিকার হতে হবে বলে জানায়। তবে দ্রুতই এ পদক্ষেপ স্থগিত করেন একটি ফেডারেল আদালত।কর্মীদের এভাবে গণহারে ছাঁটাইয়ের সিআইএর উদ্যোগের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে আগামী সোমবার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব ভার্জিনিয়ার একজন বিচারকের শুনানি করার কথা রয়েছে।

কর্মীদের এভাবে গণহারে ছাঁটাইয়ের সিআইএর উদ্যোগের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে আগামী সোমবার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব ভার্জিনিয়ার একজন বিচারকের শুনানি করার কথা রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে দাখিল করা এক নথিতে সরকারি কৌঁসুলিরা জানান, সিআইএর পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ ডাইভারসিটি নিয়োগ বন্ধে হোয়াইট হাউসের নির্বাহী আদেশ মেনে আরও কর্মী ছাঁটাই করার পদক্ষেপ নিতে পারেন। অন্যদিকে, কর্মীদের পক্ষের একজন আইনজীবী কেভিন ক্যারল বলেন, ওই নথি দাখিলের ঘটনা এ ইঙ্গিতই দেয় যে বরখাস্ত করা সবে শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নীতিতে বদল আনতে প্রেসিডেন্টরা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন আদেশ দিয়ে থাকেন। তবে যেসব কর্মী আগের প্রশাসনের অগ্রাধিকারমূলক কাজ এগিয়ে নিয়ে যান, তাঁদের চাকরিচ্যুত করার ঘটনা বিরল। এমনটাই বলছেন সাবেক কর্মকর্তারা।উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিআইএর ইন্টারোগেশন প্রোগ্রাম বাতিল করেছিলেন। এ কর্মসূচি সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় নেওয়া হয়েছিল। তবে যেসব কর্মীর বিরুদ্ধে আল–কায়েদার বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের বরখাস্ত করেননি তিনি।

আদালতে সরকারি কৌঁসুলিদের নথি দাখিলের ঘটনা এ ইঙ্গিতই দেয় যে বরখাস্ত করা সবে শুরু হয়েছে।
কেভিন ক্যারল, কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী
সর্বশেষ ১৯৭৭ সালে বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ নিয়েছিল সিআইএ। ওই সময় প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সংস্থাটিকে গোপন তৎপরতা থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দেন। প্রেসিডেন্টের আদেশের পর সংস্থাটির তৎকালীন পরিচালক স্ট্যানসফিল্ড টার্নার এমন তৎপরতায় নিয়োজিত ১৯৮ জন কর্মীকে বরখাস্ত করেন। এমনকি তখনো ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া হয়, যাঁরা অবসরে যাওয়ার মতো বয়সে পৌঁছেছিলেন, তাঁদের এ পদক্ষেপের বাইরে রাখা হয়।

এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আদেশের পর নতুন করে শুরু হওয়া কর্মী ছাঁটাই বন্ধে মামলা করা ২১ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তার আইনজীবী ও সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা ক্যারল বলেন, ডাইভারসিটি ও রিক্রুটিং নিয়ে কাজ করা প্রায় ৫১ জন কর্মকর্তার পদ–পদবি পর্যালোচনা করছে কর্তৃপক্ষ।ক্যারল বলেন, সংস্থা যেসব কর্মীকে বরখাস্ত করতে চাইছে, তাঁরা কেউ ডাইভারসিটি বিশেষজ্ঞ নন। তিনিসহ আরও কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, এই কর্মীদের বোঝানো ও নিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের আমলে তাঁদের ওই পদ গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমন সক্ষমতা দেশের বাইরে গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করার সময় অর্জন করেছিলেন তাঁরা।

সর্বশেষ ১৯৭৭ সালে বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ নিয়েছিল সিআইএ। ওই সময় প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সংস্থাটিকে গোপন তৎপরতা থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দেন। প্রেসিডেন্টের আদেশের পর সংস্থাটির তৎকালীন পরিচালক স্ট্যানসফিল্ড টার্নার এমন তৎপরতায় নিয়োজিত ১৯৮ জন কর্মীকে বরখাস্ত করেন।
ইতিপূর্বে কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁদের আশা, সিআইএ ডাইভারসিটি সংক্রান্ত ছাঁটাই পদক্ষেপ থেকে সরে আসবে এবং তাঁরা নিজেদের পুরোনো কাজ—বিদেশে গোয়েন্দা নিয়োগে ফিরতে পারবেন।

আদালতে দাখিল করা আইনি নথিতে সরকারি কৌঁসুলিরা যুক্তি দেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ আটকানোর আদেশ ‘জনস্বার্থের ক্ষতি করবে’। কর্মীদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে র‍্যাটক্লিফের সক্ষমতার পাশাপাশি তাঁর কর্তৃত্বেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে এটি।



আর্কাইভ

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৫০০, চলছে উদ্ধারকাজ
নুরের শারীরিক অবস্থা অবনতির আশঙ্কা, মেডিকেল বোর্ড গঠন
আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম পিটিয়েছে: বুয়েট শিক্ষার্থী রাফিদ
লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা
বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমছে সাড়ে ৫ বছর
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ‘ঘনিষ্ঠতা’ ভারতের উদ্বেগ
চীনের প্যারেডে যাচ্ছেন পুতিন-কিম, আমন্ত্রণ পাননি পশ্চিমা কোন নেতা
বায়ুদূষণে শীর্ষে দুবাই, ঢাকার অবস্থা যা জানা গেল!