
শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম » তুরস্কের তৈরি ৩০০-৪০০ ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান: ভারত
তুরস্কের তৈরি ৩০০-৪০০ ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান: ভারত
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতে তাদের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে তুরস্কের তৈরি ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
শুক্রবার ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। লেহ থেকে শুরু করে গুজরাত পর্যন্ত ৩৬টি জায়গায় হামলা হয়েছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনী অনেকগুলো ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।’
তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ভারতে এরকম কোনো হামলার কথা অস্বীকার করেছিলেন।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি আরও বলেন, ‘আকাশপথে এত ব্যাপক সংখ্যায় অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্য ছিল সম্ভবত আমাদের বিমান-প্রতিরোধী ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখা এবং গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করা। যেসব ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে, সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে যে এই ড্রোনগুলো তুরস্কে তৈরি।’
তিনি আও দাবি করেন, ‘পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি চালানো হচ্ছে। এই গোলাগুলিতে কয়েকজন ভারতীয় সেনাসদস্য হতাহত হয়েছে। ভারতে পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
তবে ঠিক কতজন ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দেননি তিনি।
একই ব্রিফিং-এ ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং জানান, সাতই মে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ যখন বিনা প্ররোচণায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, তখনও তারা বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে নি। এর অর্থ হল ভারতের ওপরে হামলা হলে যে দ্রুত আকাশ পথে প্রতিরোধ করা হবে, সেটা জানা সত্ত্বেও একটি বেসামরিক বিমানকে ঢাল হিসাবে তারা ব্যবহার করেছিল।
ফ্লাইটরাডার২৪ -এর একটি স্ক্রিনশট দেখিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘ভারতে আকাশপথ কিন্তু সব বেসামরিক বিমানের জন্য ঘোষণা দিয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই ভারতের দিকে আকাশে কোনো বেসামরিক বিমান ছিল না।’
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ অবশ্য বৃহস্পতিবার রাতেই জানিয়েছিলেন, ‘আমরা এটা অস্বীকার করছি। আমরা এখনো পর্যন্ত কিছুই করিনি। যখন পাকিস্তান হামলা করবে তখন সবাই জানতে পারবে।’