শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ১০০ দিনে বদলে গেল পৃথিবী
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ১০০ দিনে বদলে গেল পৃথিবী
২৪৬৬ বার পঠিত
বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

১০০ দিনে বদলে গেল পৃথিবী

---বিবিসি২৪নিউজ,অনলাইন ডেস্ক: গত ১০০ দিনে যা ঘটে গেল তার কথা কেউ কি ভাবতে পেরেছিল? বিশ্বজুড়ে স্থবির হয়ে পড়া জীবন, ঘরবন্দী মানুষ, অর্থনৈতিক সীমিত কার্যক্রমের কথা কেউ ভাবেনি। বিশ্বজুড়ে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১টা ৩৮মিনিটে চীন সরকারের ওয়েবসাইটে উহানে অজ্ঞাত নিউমোনিয়ার কারণে মানুষের সংক্রমিত হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলো।

এর পরপরই বদলে যেতে লাগল পুরো বিশ্ব। গত ১০০ দিনের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ১০ লাখের বেশি সংক্রমণ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর হাসপাতালে ভর্তির মতো ঘটনা দেখেছে বিশ্ববাসী। গত ডিসেম্বরে নতুন বছর উদযাপনে আলোর রোশনাই, আতশবাজির অনুষ্ঠান আর মানুষে ঠাসা রাস্তাগুলো ১০০ দিনে এখন খাঁ খাঁ করছে। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে গত ১০০ দিনের সেই চিত্র। দেখে নিন কী ঘটে গেছে গত ১০০ দিনে:

১ জানুয়ারি

উহানের সামুদ্রিক খাবারের একটি বাজার থেকে একটি সন্দেহজনক ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই দিনই চীনা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে উহানের হাসপাতালে অশুভ লক্ষণ নিয়ে রোগী ভর্তির তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। তাইওয়ানের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করে। তারা উহান থেকে আসা ফ্লাইটগুলোতে ফ্লুর উপসর্গ থাকা রোগীদের শনাক্ত করে। এর দুদিনের মধ্যে সিঙ্গাপুর ও হংকং তাদের সীমান্ত/বিমানবন্দরে নজরদারি শুরু করে। গুজব ছড়ানোর দায়ে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চীনের জননিরাপত্তা ব্যুরো। ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রথম সতর্কবার্তা দেওয়া চীনা চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং তাঁর সহকর্মীদের একটি সতর্কবার্তা পাঠান, যেখানে তিনি সার্সের (প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতি) মতো একটি ভাইরাসের কথা জানান। কিন্তু এ জন্য উল্টো তাঁকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। চীনের জননিরাপত্তা ব্যুরো তাঁকে ডেকে ‘গুজব না ছড়ানোর’ জন্য সতর্ক করে এবং একটি চিঠিতে সই করতে বাধ্য করে, যেখানে তিনি মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

৯ জানুয়ারি

রহস্য রোগটি করোনাভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। চীনা বিজ্ঞানীরা বলেন, উহানের অসুস্থ রোগীরা পূর্বে অপ্রকাশিত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। আগে সার্স ও মার্স নামে মহামারি সৃষ্টিকারী দুটি করোনাভাইরাসের মতোই নতুন ভাইরাসটিও মারাত্মক। ৬১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এতে মারা গেছেন, যা উহান হাসপাতালে নতুন করোনাভাইরাসে মৃত্যুর প্রথম ঘটনা। ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স বের করে ফেলে চীন। দেশটির বাইরে ইরানে প্রথম সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া যায়। ওই সময় গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি সপ্তাহে সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছে। চীনা চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াংয়ের করোনাভাইরাসের উপসর্গ ধরা পড়ে।

২০ জানুয়ারি

চীনের শ্বাসতন্ত্র বিশেষজ্ঞ ঝং নাশান দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খারাপ খবর নিয়ে হাজির হন। তিনি বলেন, উহানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও গুয়াংডং-এ দুজন ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, মানুষের সংস্পর্শে এসে এটি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপর ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে আরও ছড়িয়ে পড়ে। বেইজিং ও সাংহাইতেও রোগী পাওয়া যায়। এ সময় জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে রোগী শনাক্ত হয়। উহান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরা ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জ্বর ও কাশি নিয়ে ওয়াশিংটন হাসপাতালে ভর্তি হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম এ সম্পর্কে জানাতে পারেন। উহানজুড়ে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। শতাধিক রোগীকে শিহি হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসার অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়।

২৪ জানুয়ারি

চীনা নতুন বছরের শুরুতে চীনের হাজার হাজার নাগরিক পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নানা জায়গায় ভ্রমণ করেন। উহানে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। উহানে ৮০০ রোগী শনাক্ত ও ২৫ জন মারা যায়। ভাইরাসটি ওই সময় ইউরোপে এসে পৌঁছায়। চীন থেকে আসা দুই ব্যক্তি ও তাঁদের এক আত্মীয়ের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। তাঁরা বেশ কিছু মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ফ্রান্স তাঁদের খুঁজে বের করার কথা জানায়। ট্রাম্প ওই সময় করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা বলেন। তবে চীন তাদের লকডাউনের এলাকা বাড়ায়। চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং সতর্ক করে পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা স্বীকার করেন। হুবেই প্রদেশের সিনহুয়া হাসপাতালের করোনাভাইরাসের চিকিৎসক লিয়াং উডং মারা যান। করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া প্রথম চিকিৎসক তিনি।নতুন করোনাভাইরাসের কারণে দেশে দেশে দেওয়া হয়েছে লকডাউনের ঘোষণা।

৩১ জানুয়ারি

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সার্স ভাইরাসকে ছাড়িয়ে যায়। যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ইতালি তাদের দেশে প্রথম করোনা রোগী পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্প্রেঞ্জা বলেন, পরিস্থিতি মারাত্মক হলেও ভয়ের কিছু নেই। সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চীনের বাইরে কেউ মারা না গেলেও চীনের মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫৮ জনে। এ সময় ১১ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে আসা বিদেশিদের সে দেশে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা দেয়।

৪ ফেব্রুয়ারি

চীনে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ২০ হাজার ও মৃত্যু ৪২৫ ছাড়িয়ে যায়। ফিলিপাইনের ম্যানিলায় উহানের এক ব্যক্তি মারা যান, যা চীনের বাইরে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। চীন থেকে কারও ফিলিপাইনে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক স্তরে ভাইরাসটির বিস্তার ধীরগতির। তবে তা খারাপ হতে পারে। তবে, ব্যবসা ও ভ্রমণ বন্ধের যৌক্তিকতা কম। ওই সময়ে চীনা চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং মারা গেলে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ট্রাম্প নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক শোভাযাত্রায় বলেন, মহামারি দ্রুত কমে আসবে। হালকা গরম পড়া শুরু হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

১৯ ফেব্রুয়ারি

দক্ষিণ কোরিয়া কঠোর পরীক্ষা এবং রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার মরিয়া চেষ্টা চালানোর কথা জানায়। দেশটিতে মাত্র ৩০ জন শনাক্ত হয়। তবে তাদের ৩১তম রোগী নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। ৬১ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসকের কথা অমান্য করে চার্চে যান। তাঁর সংস্পর্শে আসা ১ হাজার ১৬০ জন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। ইরান নিজ দেশে দুজন করোনা-আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানায়।কত দিন পর প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার আনন্দ! করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান থেকে আজ বুধবার লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। আটকা পড়া মানুষ তাদের প্রিয়জনের সান্নিধ্যে এসে আপ্লুত হয়ে পড়েছে। কত দিন পর প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার আনন্দ! করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান থেকে আজ বুধবার লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। আটকা পড়া মানুষ তাদের প্রিয়জনের সান্নিধ্যে এসে আপ্লুত হয়ে পড়েছে।

২৫ ফেব্রুয়ারি

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ১১-তে পৌঁছায়। ইতালিতে ৫০ হাজার মানুষকে লকডাউন করা হয়। ইউরোপে প্রথম কোয়ারেন্টিনের ঘটনা এটি। চীনের বাইরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ইরানে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৪তম ঘটনা শনাক্ত হয়। ট্রাম্প ভারতে সফরের সময় টুইট করেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শেয়ারবাজার খুব ভালো আছে।

৬ মার্চ

ছয় দিনে ইতালিতে মৃত্যুহার ছয় গুণ বাড়ে। দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩০ জনে পৌঁছায়। প্রতিদিন সেখানে গড়ে ১২০০ জন আক্রান্ত হতে শুরু করে। যুক্তরাজ্যে ৭০ বছর বয়সী এক নারী প্রথম মারা যান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনাভাইরাসের প্রকোপের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে নিচ্ছে না বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাত মেলানোর অভ্যাস নিয়ে বিদ্রুপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতালে গিয়ে কয়েকজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসেছি।’

১১ মার্চ

ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তাঁর প্রশাসন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের শিকার মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজারের বেশি রোগী পাওয়া যায়। ইতালিতে এক দিনে মৃতের সংখ্যা ১৬৮ জন, যা যেকোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেয়। যুক্তরাজ্যে ৪৫৬ জন আক্রান্ত হওয়ার পর ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

১৭ মার্চ

ইউরোপের দেশগুলো পরস্পরের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এক মহাদেশ আরেক মহাদেশ থেকে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁখো বলেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধে রয়েছি।’ ইতালিতে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৪৫০ ছাড়ায়। মৃতের সংখ্যার দিক থেকে চীনকে ছাড়িয়ে যায় ইতালি। স্পেনে নিশ্চিত শনাক্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ক্যালিফোর্নিয়ায় ৪ কোটি মানুষকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ সময় বুরকিনা ফাসোর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়ায়। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

২৩ মার্চ

বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭০ হাজার পার হয়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয় ৬ হাজার ৬০০। বরিস জনসন জরুরি সেবা বাদে সবকিছু বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলেন। স্পেনে এক দিনে ৪০০ মানুষ মারা যায়। নিউইয়র্কে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তবে এ সময় চীনে সংক্রমণের হার কমতে থাকে। ভারতে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। এ অবস্থায় পুরো ভারতে তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন জারি থাকবে বলে জানানো হয়। এই সময়ে নিজের ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য ভারতের নাগরিকদের অনুরোধ জানান নরেন্দ্র মোদি।

২ এপ্রিল

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ১৮০ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বে সব মিলিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, ২ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের ১৮১টি দেশে ১০ লাখ ২ হাজার ১৫৯ জন মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১ হাজার ৪৮৫। এ অবস্থায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। স্পেনে এক দিনে মৃতের সংখ্যা ৯৫০ ছাড়ায়, যা এক দিনে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা।যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

৮ এপ্রিল

আজ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দ্বিতীয় দিনের মতো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন। জাতীয় জরুরি অবস্থার মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীর এভাবে আইসিইউতে স্থানান্তর হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। যুক্তরাজ্যজুড়ে ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মারা গেছে ৬ হাজার ২০০ মানুষ। ইউরোপে সবচেয়ে আক্রান্ত কয়েকটি দেশে নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

চীন করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুহীন একটি দিন পার করেছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে ঘরে বন্দিদশায় ছিল চীনের উহানের মানুষ। আজ বুধবার তাদের বন্দী অবস্থার অবসান হলো। মুক্ত জীবনের স্বাদ পেল তারা। কর্তৃপক্ষ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন তুলে নিয়েছে। উহানের জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। গত ২৩ জানুয়ারি এ শহর লকডাউন করা হয়। চীনের সরকারি সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ শহরের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এখানে মারা যায় আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মরে যাওয়া মানুষের ৮০ শতাংশই এ শহরের। গত শনিবার ছিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন। বিশ্বজুড়ে ওই দিন ৬ হাজার ৫০০ মানুষ মারা যায়।

অনেক দরিদ্র দেশে অবশ্য এখনো এ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়নি। তবে, এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি। আক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা সামলানোর জন্য সিঙ্গাপুর আরও কঠোর কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা নিয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দ্রুত ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা হলেও তা ১৮ মাসের আগে বাজারে আসবে না। পাকিস্তান তাদের নির্মাণখাত আবার খুলে দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৬ ছাড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮২ হাজার ২২০ জন। এর মধ্য ইতালিতে ১৭ হাজার ১২৭ জন মারা গেছেন, যা এখন পর্যন্ত কোনো দেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ১ হাজার ৭৬৮ জন।



আর্কাইভ

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে সৌদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে কাজ করছে নৌ ও বিমান বাহিনী
আবারও লন্ডনের মেয়র সাদিক খান
পুরুষদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করলো মিয়ানমার
ইসরাইলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেফতার করছে সৌদি আরব
ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
সাংবাদিককে হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়: মিলার
উপজেলা ভোটে প্রভাব বিস্তার করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি