সোমবার, ২৫ মে ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » আমেরিকার হুমকি উপেক্ষা করে ভেনিজুয়েলায় ইরানের দ্বিতীয় তেল ট্যাংকার
আমেরিকার হুমকি উপেক্ষা করে ভেনিজুয়েলায় ইরানের দ্বিতীয় তেল ট্যাংকার
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকার হুমকি উপেক্ষা করে ইরানের পতাকাবাহী দ্বিতীয় তেল ট্যাংকার ‘ফরেস্ট’ ভেনিজুয়েলার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পানিসীমায় প্রবেশ করেছে।
তেহরানের স্থানীয় সময় আজ (সোমবার) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ভেনিজুয়েলার পানিসীমায় প্রবেশ করার পর দেশটির নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সেনারা ইরানি তেল ট্যাংকারকে স্কর্ট করে ভূ-ভাগের দিকে নিয়ে যায়। এসময় আশপাশে মার্কিন কোনো যুদ্ধজাহাজকে দেখা যায়নি।
এর একদিন আগে অর্থাৎ রোববার সকালে ইরানের প্রথম তেল ট্যাংকার ‘ফরচুন’ ভেনিজুয়েলার পানিসীমায় প্রবেশ করে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী- ইতোমধ্যে দুটো ট্যাংকারই ভেনিজুয়েলার ইআই পালিটো বন্দরে পৌঁছে গেছে। ‘ক্ল্যাভেল’, ‘ফ্যাকসন’ ও ‘পতুনিয়া’ নামের অপর তিনটি তেল ট্যাংকার ভেনিজুয়েলার পানিসীমার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভেনিজুয়েলার ইআই পালিটো বন্দর
ভেনিজুয়েলা তেলসমৃদ্ধ দেশ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির তেল শোধানাগারগুলো অচল হয়ে পড়ার কারণে পরিশোধিত তেলের অভাবে পড়ে দেশটি। এ অবস্থায় সম্প্রতি দু’দেশের ওপর আমেরিকার অবৈধ ও একতরফা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানের পাঁচটি তেল ট্যাংকার ভেনিজুয়েলার জন্য ৪৩ মিলিয়ন লিটার পরিশোধিত তেল ও তেলজাত পণ্য নিয়ে দেশটির উদ্দেশে যাত্রা করে।
এ খবর পাওয়ার পর মার্কিন সরকার গত ১৪ মে হুমকি দেয়, ইরানের তেল ভেনিজুয়েলায় সরবরাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে ওয়াশিংটন। পরবর্তীতে জাতিসংঘে নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার স্থায়ী প্রতিনিধি জানান, আমেরিকা ইরানি তেল ট্যাংকারকে বলপূর্বক বাধা দেয়ার হুমকি দিয়েছে। কোনো কোনো পশ্চিমা গণমাধ্যমে এ খবরও প্রকাশিত হয়, ইরানি তেল ট্যাংকারকে বাধা দিতে আমেরিকা ক্যারিবীয় সাগরে নৌবাহিনী পাঠিয়েছে।
ইরানি তেল ট্যাংকার ‘ফরচুন’
ক্যারিবিয় সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর খবর প্রকাশ হওয়ার পর ইরান ও ভেনিজুয়েলা উভয় দেশের পক্ষ থেকে পাল্টা হুমকি এবং ইরানের পক্ষ থেকে পারস্য উপসাগরে আমেরিকাকে একই পরিণতি বরণ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ক্যারিবিয়ান সাগরে মার্কিন উস্কানিমূলক তৎপরতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ক্যারিবিয়ান সাগর বা অন্য কোথাও যদি আমাদের তেল ট্যাংকার আমেরিকার হাতে বিপদের সম্মুখীন হয় তাহলে তারাও (আমেরিকা) অন্য কোথাও একই ধরনের বিপদের মুখে পড়বে।’
তিনি শনিবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি’র সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এরপরই আমেরিকা ইরানি ট্যাংকারে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে বলে মনে করা হচ্ছে।