শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

BBC24 News
বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | স্বাস্থ্যকথা » বাংলাদেশে ৫০ ভাগ হাসপাতালের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ !
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | স্বাস্থ্যকথা » বাংলাদেশে ৫০ ভাগ হাসপাতালের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ !
১৫২৪ বার পঠিত
বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে ৫০ ভাগ হাসপাতালের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ !

---বিবিসি২৪নিউজ,এম ডি জালাল,ঢাকা :বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাগজপত্র দেখে জানা গেল, ৫০ ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ৷ আর কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগ হাসপাতালের কোনো লাইসেন্সই নাই ৷ গত দুই বছরে লাইসেন্স বাতিল হয়েছে মাত্র একটি হাসপাতালের৷ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর কারণে যশোরের নূর মহল নামে ওই ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল করা হয় গত বছরের ২ নভেম্বর৷ কিন্তু সেই ক্লিনিকটি এখন নাম বদলিয়ে মাতৃসেবা ক্লিনিক নামে পরিচালিত হচ্ছে ৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের৷ সংশ্লিষ্ট শাখা এবং দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাগজপত্র দেখে এই তথ্য দিলেও তারা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাননি৷ বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স ২০১৩ সালের পর আর নবায়ন হয়নি৷ কিন্তু এই হাসপাতালের সাথেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড হাসপাতালের চুক্তি করেছিলো৷ অধিদপ্তরের দাবি করেছে, উত্তরার এই হাসপাতালটিতে কয়েকবার অভিযান চালিয়ে তাদের সতর্ক করলেও তারা তা আমলে নেয়নি৷ নিয়ম অনুযায়ী এখন সব বেসরকারি হাসপাতালের রেজিষ্ট্রেশন অনলাইনে বাধ্যতামূলক ৷ কোনো একটি শর্ত পুরণ না করতে পারলে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন হয় না৷ তাই নবায়নও হয় না৷

লাইসেন্স কীভাবে পাওয়া যায়

লাইসেন্স দেয়া হয় ১০ বেডের হাসপাতাল বা ক্লিনিক হিসেবে এক বছরের জন্য৷ প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়৷ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে একই নিয়ম৷ এই হাসপাতালের লাইসেন্স পেতে হলে কমপক্ষে তিন জন এমবিবিএস ডাক্তার, ছয় জন নার্স ও দুইজন ক্লিনার থাকতে হবে৷ প্রত্যেকটি বেডের জন্য ৮০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে৷ অপারেশন থিয়েটার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হতে হবে৷ আর সেখানে কি কি আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকতে হবে তাও বলা আছে৷ এরসঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন নাম্বার, বিআইএন নাম্বার, পরিবেশ এবং নারকোটিকস-এর লাইসেন্স লাগবে৷ অপারেশন থিয়েটারের জন্য নারকোটিকস-এর লাইসেন্স বাধ্যতামূলক৷ তবে আউটডোর, এমার্জেন্সি এবং অপারেশন থিয়েটার বাধ্যতামূলক নয়৷ হাসপাতালের ধরন অনুযায়ী শর্ত থাকে ৷

আবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম সরেজমিন পরিদর্শন করে লাইসেন্স দেয়৷ লাইসেন্স নিতে ঢাকায় ৫০ হাজার এবং জেলা উপজেলায় ৪০ হাজার টাকা লাগে৷

১০ বেডই প্রাইভেট হাসপাতালের ইউনিট৷ এরপর বেড বেশি হলে আনুপাতিক হারে জনবল বাড়ে ৷ কত হাসপাতাল-ক্লিনিক

---স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে চার হাজার ৮৪টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এপর্যন্ত অনলাইনে লাইসেন্স নিয়েছে৷ তবে লাইসেন্স আছে এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৫৫টি৷ রাজধানীসহ ঢাকা জেলায় আছে ২৯৪টি৷ যারা আগে ম্যানুয়ালি লাইসেন্স নিয়েছে তাদেরও আবার অনলাইনে লাইসেন্স নিতে হবে৷ এইসব হাসপাতালের অর্ধেকই লাইসেন্স নবায়ন করেনি৷ এক বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করতে লাগে পাঁচ হাজার টাকা৷ ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়৷ তবে বাস্তবে সারাদেশে সাত হাজারের মত প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে৷ যার একটি অংশের লাইসেন্সই নাই৷ কেউ কেউ আবার আবেদন করেই হাসপাতাল চালু করে দেন৷

নবায়ন না করলে কি হয়?

লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে বা নবান না করলে লাইসেন্স বাতিল করার বিধান আছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ( প্রাইভেট হাসপাতাল) ইউনূস আলী৷ তবে অধিদপ্তর লাইসেন্স বাতিল করতে পারেনা৷ পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ অধিদপ্তর মৌখিক এবং লিখিতভাবে তাদের সতর্ক করতে পারে৷ ১৫ দিন সময় দিয়ে হাসপতাল সাময়িক বন্ধের জন্য নোটিশ দিতে পারে৷ মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করে শাস্তি দিতে পারে৷ ২০১৮ সালে ঢাকার ৩০টি প্রাইভেট ক্লিনিককে শোকজ করে ১৫ দিনের মধ্যে সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বলেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর৷ তখন ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হয়৷ কিন্তু সেই হাসপাতালগুলো আবারও চালু হয়েছে৷ ২০১৯ ও ২০২০ সালে কোনো হাসপাতালকে সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়নি৷ ২০১৯ সালে যশোরে নূর মহল ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার আগের বছরের৷ আর সেটা বন্ধ করেছিলো মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর নয়৷

উপ-পরিচালক ইউনূস আলী বলেন, ‘‘শর্ত পুরণ না করলে আমরা লাইসেন্স দেইনা৷ আর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের শোকজ করি এবং লাইসেন্স বাতিলসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করি৷’’

তবে গত দুই বছরে কতটি হাসাপতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদ্ধতি হলো কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয় হয়, নিজেরা মনিটরিং করেনা বলে জানান তিনি৷ আর কেউ আবেদন করেই হাসপাতাল চালু করে দিলে তারা বন্ধ করতে বলেন মাত্র৷ তাই রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে র‌্যাব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নয়৷

এদিকে অধিদপ্তরেরই একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালগুলোর একাংশ লাইসেন্স নেয়ার সময় ভাড়া করে চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি আনে৷ পরে যা আর থাকে না৷ কোনো রকম চালানো হয়৷

বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ১০ হাজারের বেশি ৷ তবে এরমধ্যে হাসপাতাল ও ক্লিনিক কতটি সে হিসাব তাদের কাছে নেই৷ সংঠনের সভাপতি ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘‘লাইসেন্স ছাড়াও অনেক হাসপাতাল ক্লিনিক আছে৷ আমরা তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বার বার বলেছি৷ রিজেন্ট হাসপতাল আমাদের সদস্য নয়৷ ওই ধরনের হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা পত্রিকায় কয়েকদিন আগে বিজ্ঞাপনও দিয়েছি৷’’ তবে এবার কোভিডের কারণে অনেক হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়ন করতে পারেনি বলে জানান তিনি৷ অনলাইনের কারণেও অনেকে নবায়ন করতে পারছেনা৷ শতভাগ সঠিক না হলে অনলাইনে নিবন্ধন এবং নবায়ন সম্ভব নয় বলে জানান তিনি৷

মহাপরিচালক সংবাদমাধ্যমে কথা বলছেন না,সার্বিক বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ কথা বলতে রাজি হননি৷



আর্কাইভ

জীবন বাঁচাতে কোন আশ্রয়ের জায়গা নেই, রাফাহ ছেড়েছেন ৮ লাখ ফিলিস্তিনি: জাতিসংঘ
বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশের বাবর আলী
গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি
ইতিহাসের সর্বোচ্চ সোনার অলংকার দাম রেকর্ড
সৌদিতে প্রথমবারের মতো র‌্যাম্পে হাঁটলেন নারী মডেলরা
বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপড়েন মিটমাট করতে আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের
সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দম্পতির
দেশে আরও ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট
১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য