শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে টাকার সরবরাহ বাড়াচ্ছে কেন?
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে টাকার সরবরাহ বাড়াচ্ছে কেন?
১৯০৭ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে টাকার সরবরাহ বাড়াচ্ছে কেন?

---বিবিসি২৪নিউজ,অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে প্রথম চার মাসে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন (৩৬০ কোটি) মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসময় ৩০ হাজার ২৪০ কোটি টাকা নগদ অর্থ ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অবমূল্যায়ন রোধে ডলার কিনে বাজারে নগদ অর্থ সরবরাহ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়ে যাওয়া ও ডলারের চাহিদা কমে যাওয়ায় বাজারে উদ্বৃত্ত ডলার থেকে যাচ্ছে। বিনিয়োগে চাহিদা কম। আমদানিও কমে গেছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করতে না পারায় ব্যাংকগুলোকে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ডলার নিয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে তা কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ মাইলফলক চার হাজার ১০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। ডলারের বিপরীতে নগদ অর্থ ছেড়ে দেয়ায় বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়ে যাচ্ছে। এতে মুদ্রা সরবরাহজনিত কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মহামারি করোনার ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ও অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে নীতিমালা শিথিলকরণসহ বিভিন্ন উপায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩৮ হাজার কোটি টাকা বাজারে সরবরাহ করবে।

এদিকে বাজারে নগদ তারল্য সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছরের আগস্ট শেষে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ৯৭৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক টাকা ছাড়লে বাজারে সাড়ে ৭ গুণ প্রভাব পড়ে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকাকে হট মানি বলা হয়। দেশে বিনিয়োগ চাহিদা কমে যাওয়া এবং ব্যাংকগুলো চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিনিয়োগে ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করায় প্রতিটি ব্যাংকের হাতেই উদ্বৃত্ত ডলার থেকে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলো কোথাও তা ব্যবহার করতে না পারায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থেই ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার কিনছে। এ ডলারের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থানীয় মুদ্রা দিচ্ছে। এভাবেই বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়ে যাচ্ছে। এমনিতেই কাজ কমে যাওয়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় ডলার উদ্বৃত্ত থাকছে। না কিনলে ডলারের দাম কমে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রবাসীরা। ফলে রেমিট্যান্স পাঠাতে তারা নিরুৎসাহিত হবেন। অন্যদিকে রফতানি আয়ও কমে যাবে। এসব কথা চিন্তা করেই বাজার থেকে ডলার কিনতে হচ্ছে; অন্যথায় ডলার অবমূল্যায়ন হতো। এর নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, করোনার প্রাদুর্ভাব চলাকালীন আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রফতানিকারকদের বিশেষ প্রণোদনা দেয়া প্রয়োজন। এতে রফতানি-বাণিজ্য আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে তারা মনে করেন।

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী একটি ব্যাংক মূলধনের ১৫ শতাংশের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিজেদের কাছে ধরে রাখতে পারে। এর অতিরিক্ত হলেই তাকে বাজারে ডলার বিক্রি করতে হবে।

ব্যাংকাররা জানান, ছয় মাস ধরে করোনার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। আমদানি ব্যয় কমে গেছে। কমে গেছে মানুষের চাহিদা। অন্যদিকে আগে প্রতি মাসেই বিদেশে চিকিৎসার বিপরীতে বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হতো। কিন্তু করোনার কারণে ছয় মাস ধরে চিকিৎসার জন্য কেউ বিদেশে যাচ্ছেন না। আবার প্রতি বছর পবিত্র হজ পালনের জন্য হজযাত্রীরা বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করেন। কিন্তু এবার করোনার কারণে এটাও হয়নি। এদিকে দীর্ঘদিন বিদেশে কর্মরত শ্রমিকরা করোনার কারণে বেকার হয়ে গেছেন। অনেক দেশ থেকেই এখন বাংলাদেশি শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ফলে দীর্ঘদিনের জমানো অর্থ বিদেশ থেকে দেশে পাঠাচ্ছেন অনেকেই। এ কারণে গত কয়েক মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্সপ্রবাহের এ ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এদিকে রফতানির পরিমাণ কমলেও প্রতি মাসেই কিছু রফতানি আয় দেশে আসছে। সেই সাথে বিদেশি ঋণ ও বৈদেশিক অনুদান আসছে। সব মিলে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির থাকায় ওই পরিমাণ ব্যয় হচ্ছে না। ফলে প্রতিটি ব্যাংকের হাতেই বৈদেশিক মুদ্রা উদ্বৃত্ত রয়েছে। চাহিদা না থাকায় আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন কমে গেছে।

এদিকে ব্যাংকগুলো এখনো রেমিট্যান্স হাউজগুলোর মাধ্যমে বাড়তি দামেই বৈদেশিক মুদ্রা কিনে দেশে আনছে। কিন্তু চাহিদা না থাকায় তা কাজে লাগাতে পারছে না।



আর্কাইভ

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
সাংবাদিককে হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়: মিলার
উপজেলা ভোটে প্রভাব বিস্তার করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
কংগ্রেস পাকিস্তানের ‘মুরিদ’: মোদি
নিউইয়র্কের আদালতে ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা
উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশে অপপ্রচার চালানো হয় : আরাফাত
অর্থ পাচারের মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস
রাফায় অভিযানের হুঁশিয়ারি ইসরাইলের, সতর্কবার্তা জাতিসংঘের