শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » বাংলাদেশে বজ্রপাত কেন বেড়েছে
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » বাংলাদেশে বজ্রপাত কেন বেড়েছে
১৩৯৬ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে বজ্রপাত কেন বেড়েছে

---ড, আরিফুর রহমানঃ ইদানীং বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যাও। তারপরও সাধারণ মানুষের মধ্যে বজ্রপাত নিয়ে কোনো সচেতনতা নেই। বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ বা গাছতলার চেয়ে বেশি নিরাপদ হলো টিনের চালাযুক্ত বাড়ি বা গাড়ির ভেতরে বসে থাকা। কারণ টিনের চাল বা গাড়ি তড়িৎপর্দার মতো কাজ করে, যেখানে বাজ হানা দিতে পারে না।

গ্রামে যারা থাকেন তাদের বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সময় বাড়ির ভেতরে থাকাটা জরুরি। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে শহরে ও মফস্বলে দোতলার চেয়ে উঁচু বাড়িগুলোয় বজ্র নিরোধক লাগানো বাধ্যতামূলক করা উচিত। অনেকের ধারণা, বজ্র নিরোধক বাজকে আকর্ষণ করে। আসলে ঠিক এর উলটো। বাজ যাতে না পড়ে, বজ নিরোধক তাতে সহায়তা করে।

ঝড়, বৃষ্টির মতোই বাজ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা, এ বিষয়ে কোনো কুসংষ্কার বাঞ্ছনীয় নয়। আর সাধারণভাবে বায়ুদূষণ কমাতে পারলে বাজ পড়াও কমবে। গ্রামেগঞ্জে কাঠ, কয়লা, ঘুঁটে দিয়ে আজও রান্না করা হয় বলে বায়ুতে দূষণের মাত্রা বাড়ে। কেউ বলতে পারেন, আগেও তো হতো। সে কথা ঠিক। কিন্তু তখন অন্যান্য দূষণ যেমন যানবাহন বা শিল্পের দূষণ এত বেশি ছিল না। দূষণে বায়ু ভেদ্য হয়ে পড়ায় লাগামছাড়া হয়েছে বজ্রপাতের ঘটনা।

বজ্রপাত কেন ঘটে? আকাশের মেঘ আর পৃথিবীপৃষ্ঠ দুটি আধানযুক্ত প্রান্তের মতো কাজ করে। দুই প্রান্তের এই আধান সৃষ্টি হয় ঘর্ষণ থেকে। মেঘে মেঘে ঘর্ষণ, আর পৃথিবীর বুকে যে গাড়িঘোড়া চলছে, মানুষ হাঁটছে, সেখান থেকে ঘর্ষণ এবং এই ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন হয় স্থির আধান। এ দুটি প্রান্তের আধান অর্থাৎ মেঘ ও পৃথিবীর আধান একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যেতে পারে না।

কারণ এ দুটির মধ্যে রয়েছে এমন একটি মাধ্যম, যার কাজ আধান পরিবহণে বাধা দেওয়া। এক্ষেত্রে সেই মাধ্যমটি বায়ু, যার রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক পরিচয়-পরাবৈদ্যুতিক। আকাশের মেঘ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্বের সঙ্গে বায়ুর বিভবের বা ভোল্টেজের পরিবর্তন ঘটে। বায়ু মাধ্যম এক মিটার দূরত্বে সর্বোচ্চ যে বিভব বা ভোল্টেজ বহন করতে পারে তার মান ৩০০ কিলোভোল্ট।

বোঝাই যাচ্ছে, এই মান যথেষ্ট বেশি, অন্তত আমরা বাড়িতে যে ভোল্টেজ ব্যবহার করি সেই ২২০ ভোল্টের তুলনায়। যদি কোনা কারণে মেঘ ও পৃথিবীপৃষ্ঠের মধ্যবর্তী দূরত্বের কোনো এক জায়গায় ভোল্টেজ প্রতি মিটারে ৩০০ কিলোভোল্টের বেশি হয়ে যায়, তখনই পরাবৈদ্যুতিকের পতন ঘটে এবং বিপুল পরিমাণ আধান একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে মুহূর্তের মধ্যে পরিবাহিত হয়, যাকে আমরা বাজ পড়া বলি। এই প্রবাহ যেমন আকাশ থেকে পৃথিবীপৃষ্ঠের দিকে হতে পারে, তেমনি উলটোদিকেও হতে পারে।

বায়ুর পরাবৈদ্যুতিকের পতন হয় কেন? জলীয় কণার উপস্থিতি যেমন একটা কারণ হতে পারে, তেমনি দেখা গেছে, পরাবৈদ্যুতিকের ভেতরে অপবস্তুর প্রবেশ ঘটানো হলে তার মান ভীষণভাবে কমে যায়। এখানে বায়ু মাধ্যমের ভেতরে দূষণজনিত ধূলিকণা সেই অপবস্তুর কাজ করে, ফলে আগের তুলনায় বর্তমানে বজ্রপাতের ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। দূষণ কম হলে বজ্রপাতের ঘটনাও কমে যাবে-এ কথা আজ নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।



আর্কাইভ

দেশে জাতীয় সরকার গঠন করবে বিএনপি
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পেলেন সিরাজ উদ্দিন মিয়া
রোহিঙ্গারা আসতে চাইলে আমরা তাদের গ্রহণ করবো: ড. ইউনূস
২০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ইরানের, ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে কয়েকটি
কলকাতায় পার্কে দেখা মিলল আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আরও কয়েকজনের
বাংলাদেশের ৫ মিশনের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ
ফিলিস্তিনের পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত থাকবে: ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
খাগড়াছড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি