শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনে-বাস্তুচ্যুত অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনে-বাস্তুচ্যুত অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
৪৭৪ বার পঠিত
বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনে-বাস্তুচ্যুত অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

---বিবিসি২৪নিউজ, এমডি জালাল, গ্লাসগো (স্কটল্যান্ড) থেকেঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে স্কটিশ পার্লামেন্টের কমিটি কক্ষে তিনি বলেন, ‘সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক ঘটনায় প্রভাবিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব বিশ্বকে অবশ্যই ভাগ করে নিতে হবে। ক্ষতির বিষয়টি অবশ্যই সঠিকভাবে সমাধান করতে হবে।’

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে জলবায়ু বাস্তুচ্যুত ৬০ লাখ মানুষ রয়েছে। এছাড়া মিয়ানমারের আরও অতিরিক্ত ১১ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা যোগ হয়েছে। করোনা মহামারি মোকাবিলা এক্ষেত্রে অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্কটিশ পার্লামেন্টের কমিটি কক্ষে ‘অ্যা বাংলাদেশ ভিশন ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শিরোনামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, কার্যকর ও পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন হবে সমৃদ্ধি অর্জনের মূল চাবিকাঠি। এমসিপিপি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) এবং ভালনারেবল২০ (ভি২০) সভাপতি শেখ হাসিনা একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, ‘প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে অবশ্যই ব্যাপক ভিত্তিক এনডিসি (জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান) পেশ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। উচ্চাভিলাষী প্রভাব প্রশমন প্রয়াস ছাড়া শুধু অভিযোজন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবগুলোকে ধীর, বন্ধ ও পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।’

আরেকটি প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, “উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের ব্যাপারে তাদের অঙ্গীকার অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এই পরিমাণ অর্থায়ন বিদ্যমান ওডিএ’র (অফিশিয়াল উন্নয়ন সহায়তা) অতিরিক্ত ও বিভিন্ন জলবায়ু অর্থায়নের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। অভিযোজন ও প্রভাব প্রশমনের ক্ষেত্রে জলবায়ু অর্থায়ন বিতরণে মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাত থাকা উচিত।”

সবশেষ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে সবুজ প্রযুক্তি প্রসারের পরামর্শ দেন, যাতে মুজিব জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। তার কথায়, ‘বিশ্বনেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবের অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রচেষ্টার সমন্বয়ে জলবায়ু কর্মসূচির বিষয়ে নিজেদের সংকল্প ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে গ্লাসগোতে সমবেত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনও দেশই মুক্ত নয়।’

সম্প্রতি প্রকাশিত আইপিসিসি (জলবায়ু সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেল) ৬ মূল্যায়ন প্রতিবেদনকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব ও জলবায়ু দুর্যোগ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্বের জন্য আরেকটি জাগরণের আহ্বান হিসেবে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আমরা মানবজাতির সবচেয়ে গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য এটি একটি বড় হুমকি। যদিও আমরা বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনের ক্ষেত্রে ০.৪৭ শতাংশের কম অবদান রাখি। চরম তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, বন্যা ও খরা, অধিকতর তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঋতু পরিবর্তন, নদীভাঙন,সমুদ্রের অম্লকরণ বাংলাদেশ ও অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’

---বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে বর্ণনা করে সরকার প্রধানের আশঙ্কা, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে গেলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, প্রতি বছর বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবে নষ্ট হয়ে যায় এবং আগামী দশকে তা ৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। যদিও আমরা জলবায়ু প্রভাবের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ, একই সময়ে আমরা আমাদের সহিষ্ণুতার জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।’ এ প্রসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

---প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) প্রতিষ্ঠা করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৪৮০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগসহ ৮০০টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা প্রধানত অভিযোজন, প্রভাব প্রশমন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। আমরা একটি নিরাপদ, জলবায়ু সহিষ্ণু এবং সমৃদ্ধ ব-দ্বীপ অর্জনের জন্য অভিযোজিত ব-দ্বীপের ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ব্যাপক ভিত্তিক ১০০ বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গ্রহণ করেছি। বর্তমানে দেশ অগ্রসর হচ্ছে এবং একটি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) প্রণয়ন করছে, যা আমাদের অভিযোজন উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

স্কটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছলে স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। এ সময় ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।



আর্কাইভ

উপজেলা ভোটে প্রভাব বিস্তার করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
কংগ্রেস পাকিস্তানের ‘মুরিদ’: মোদি
নিউইয়র্কের আদালতে ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা
উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশে অপপ্রচার চালানো হয় : আরাফাত
অর্থ পাচারের মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস
রাফায় অভিযানের হুঁশিয়ারি ইসরাইলের, সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
গ্রেফতার ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ নেতানিয়াহু
চীনে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে মহাসড়ক ধস, নিহত ২৪
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র