বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য জয়
বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য জয়
বিবিসি২৪নিউজ, ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করলো অবিশ্বাস্য এক জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দীর্ঘ সাত মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে মিলেছে ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর এক জয়। অভাবনীয় এ জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।
আফগানিস্তানের করা ২১৫ রানের জবাবে মাত্র ৪৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে অনেক রেকর্ড গড়ে ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন আফিফ ও মেহেদি। শেষ পর্যন্ত আফিফ ১১৫ বলে ৯৩ ও মিরাজ ১২০ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনেরই এটি ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস।
এ জয়ের পথে সবচেয়ে বড় রেকর্ডটিই হলো তাদের সপ্তম উইকেট জুটির। ওয়ানডে ইতিহাসে সপ্তম উইকেটে এর চেয়ে বড় রানের জুটি আছে আর মাত্র একটি। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে ১৭৭ রান যোগ করেছিলেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও আদিল রশিদ।
আজ মাত্র ৪ রানের জন্য তাদের ছুঁতে পারেননি আফিফ ও মিরাজ। তবে এ রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও, রান তাড়া করতে নেমে সপ্তম উইকেটে ঠিকই সর্বোচ্চ রানের জুটির বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন আফিফ ও মিরাজ। এতদিন রেকর্ডটি ছিল ১৩৮ রানের, জস বাটলার ও ক্রিস ওকসের করা।
যেহেতু বিশ্ব রেকর্ডেই দুই নম্বরে উঠে গেছে মিরাজ ও আফিফের এই জুটি, তাই স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের পক্ষেও সপ্তম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এতদিন সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি ছিল ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৭ রান যোগ করেছিলেন তারা।
বিশ্ব রেকর্ডে নাম লেখানোর পথে সাত নম্বরে নামা আফিফ খেলেছেন ৯৩ রানের ইনিংস, আট নম্বরে নামা মিরাজের সংগ্রহ অপরাজিত ৮১ রান। এ দুটিই বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড। এতদিন সাত নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দখলে। তিনি ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৭৫ রান।
প্রায় নয় বছর পর সেটি নিজের দখলে নিলেন আফিফ। তবে সাত নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ইনিংসের বিশ্বরেকর্ডে অনেক পেছনে আফিফের নাম। এই পজিশনে সেঞ্চুরিই আছে ২০টি। সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের লুক রঞ্চির দখলে। তিনি ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাতে নেমে করেছিলেন অপরাজিত ১৭০ রান।
অন্যদিকে ৮ নম্বরে নেমে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল নাইম ইসলামের দখলে। তিনি ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে এনে দিয়েছিলেন রুদ্ধশ্বাস জয়। আজ আরেক অবিশ্বাস্য জয় এনে দেওয়ার পথে নাইমের রেকর্ড ভেঙে ৮১ রান করলেন মিরাজ।আট নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ডটি আইরিশ অলরাউন্ডার সিমি সিংয়ের দখলে। তিনি গত বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। এই রেকর্ডে মেহেদি মিরাজের ৮১ রানের অবস্থান ৯ নম্বরে।
এতসব ইতিবাচক রেকর্ডের মাঝে অবশ্য নেতিবাচক রেকর্ডও আছে বাংলাদেশের। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পাওয়ার প্লে’র দশ ওভারেই ৫ উইকেট হারালো টাইগাররা। ২০১২ সালে ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছয় ওভারের মধ্যে মাত্র ১৩ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল তারা। আজ ৮ ওভারের মধ্যে ২৮ রানে পড়লো ৫ উইকেট।
অবশ্য এটিই বিশ্বরেকর্ড নয়। পাওয়ার প্লে’তে সর্বোচ্চ ৭ উইকেট হারানোর রেকর্ড রয়েছে খোদ আফগানিস্তানেরই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মাত্র ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ১০ ওভারেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। সেদিন আফগানরা অলআউট হয় ৫৮ রানে।




বুলবুলই বিসিবি সভাপতি, সহ-সভাপতি ফারুক ও সাখাওয়াত
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরের যাত্রা শুরু বাংলাদেশের
আর্জেন্টিনার মাটিতে জোড়া গোলে ‘লাস্ট ড্যান্স’ রাঙালেন মেসি
শ্রীলংকাকে ৮৩ রানে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
স্পেনকে হারিয়ে আবারও নেশনস লিগ রোনালদোর পর্তুগালের
বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল
হার্ট অ্যাটাকেন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে তামিম
কেমন আছেন সাকিব আল হাসান
দ.আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয় 