শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ন ১৪৩২

BBC24 News
সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের কাজটা কী? যদি ডিও লেটারে পদোন্নতির সুপারিশ
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের কাজটা কী? যদি ডিও লেটারে পদোন্নতির সুপারিশ
১২২৯ বার পঠিত
সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের কাজটা কী? যদি ডিও লেটারে পদোন্নতির সুপারিশ

---বিবিসি২৪নিউজ,সম্পাদকীয়ঃ ড.আরিফুর রহমানঃ সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, সিনিয়র সচিব, সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতির জন্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদ-সদস্যরা ডিও লেটার (ডামি অফিসিয়াল লেটার) বা আধাসরকারিপত্র দিচ্ছেন। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের আধাসরকারিপত্র চালাচালি সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত। তাদের মতে, এতে প্রশাসনের ওপর একধরনের ‘চাপ’ সৃষ্টি হয়। উপরন্তু নিরপেক্ষতা বাধাগ্রস্ত হয় ও যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে দেশপ্রেমিক দূরদর্শী কর্মকর্তাদের সেবা থেকে জনগণ বঞ্চিত হয়, যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। উল্লেখ্য, প্রশাসনে বিভিন্ন স্তরে পদোন্নতির জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) সুপারিশ করে থাকে। পদোন্নতি বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে এ সুপারিশ করা হয়। এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদোন্নতির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। অথচ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যক্তিবিশেষের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করতে পক্ষপাতমূলক আধাসরকারিপত্র তথা ডিও লেটার চালাচালি হচ্ছে, যা উচিত নয় বলে মনে করি আমরা।

সরকারি চাকরিতে বদলির পাশাপাশি পদোন্নতি অতি স্বাভাবিক ও ধারাবাহিক একটি প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় যখন নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে, তখন সংগত কারণেই ঘটনার শিকাররা বিক্ষুব্ধ হন। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের দ্বারা জনপ্রশাসনে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়লে সরকারের দৈনন্দিন কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তারপরও কেন ডিও লেটারের মতো বিধিবহির্ভূত একটি পদ্ধতির আশ্রয় নিয়ে পদোন্নতির সুপারিশ করা হচ্ছে, বোধগম্য নয়। অপ্রিয় হলেও সত্য-কয়েক দশকেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দায় বয়ে বেড়াচ্ছে দেশের মানুষ। আত্মীয়করণ, দলীয়করণ ও পক্ষপাতিত্বের কারণে জনপ্রশাসনে নানামুখী সংকট সৃষ্টি হয়। বাস্তবে হচ্ছেও তাই। এতে জনপ্রশাসনের ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়ছে। সুদক্ষ ও পেশাদার আমলাতন্ত্রের অভাবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোয় সরকার প্রায় সময়ই সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। সরকার দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন প্রযুক্তিনির্ভর হিসাবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। তবে এজন্য দরকার সৎ, পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান আমলাতন্ত্র। এজন্য সৎ, যোগ্য ও মেধাবীদের মূল্যায়ন করে দলীয় প্রভাব ও দুর্নীতিমুক্ত পেশাদার জনপ্রশাসন গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তা না হলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে, যা মোটেই কাম্য নয়।



আর্কাইভ

বাংলাদেশে নতুন পোশাকে পুলিশ
দুর্নীতিতে তিনবার চ্যাম্পিয়ন বিএনপি, মানুষ আর ভোট দেবে না: আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের
জামায়াত লাফায় উঠছে তারা ক্ষমতায় যাবে: ফখরুল
জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানালো বিএনপি
৪ বিভাগীয় কমিশনার ও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি
বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জামায়াতসহ ৮ দলের
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
দেশব্যাপী সেনা, পুলিশ, বিজিবি-র টহল
তোমার স্ত্রী কয়টা?’- সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে: ট্রাম্প