শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

BBC24 News
মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | রাজনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » ডেটলাইন ২৮ অক্টোবর: বিএনপি-জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো আন্দোলনে তৎপর হচ্ছে
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | রাজনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » ডেটলাইন ২৮ অক্টোবর: বিএনপি-জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো আন্দোলনে তৎপর হচ্ছে
২০৬ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ডেটলাইন ২৮ অক্টোবর: বিএনপি-জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো আন্দোলনে তৎপর হচ্ছে

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: বিএনপির সঙ্গে এত দিন যুগপৎ আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল না এমন কয়েকটি ধর্মভিত্তিক ইসলামী দল সরকারবিরোধী আন্দোলনে তৎপর হচ্ছে। তারা আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলীয় কর্মসূচি দিয়েছে। এই দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন আগামী ২৭ অক্টোবর জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে।

পাশাপাশি দলটি ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে। খেলাফত মজলিস ২৭ অক্টোবর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
ধর্মভিত্তিক দলগুলোর এসব কর্মসূচি নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে। ধারণা করা হচ্ছে, এই কর্মসূচি নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির এক ধরনের বোঝাপড়া আছে।

একসময় বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামও এবার মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব বেলায়েত হোসেন ফিরোজী।
জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন ছাড়া বাকি ইসলামী দলগুলোর ওপর কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের একটা প্রভাব আছে। সম্প্রতি হেফাজতের সঙ্গেও বিএনপির একটি যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন কোন দিকে গড়ায় তা মাথায় রেখে হেফাজতে ইসলাম তাদের সিদ্ধান্ত নেবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে আরো সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে ইসলামী দলগুলো। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এসব দল শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে শক্তভাবে মাঠে থাকে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারের চাপে পড়তে চান না দলগুলোর বেশির ভাগ নেতা। ফলে সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে বিএনপি সফলতা দেখাতে না পারলে ইসলামী দলগুলো পিঠটান দিতে পারে।

শাপলা চত্বরে জামায়াত

বিএনপির সঙ্গে মিল রেখে ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে এই মহাসমাবেশ হবে বলে গতকাল সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানিয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক সূত্র জানায়, গত শনিবার বিএনপি ও জামায়াতের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এই বৈঠকের পর গত রবিবার অনুষ্ঠিত জামায়াতের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।

ফলে ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপি, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং শাপলা চত্বরে জামায়েতের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জামায়াত প্রতিবছর ২৮ অক্টোবর ‘লগি-বৈঠার’ কর্মীদের হাতে তাদের কয়েকজন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার স্মরণে বিক্ষোভ সমাবেশ করত। এবারই প্রথম এই দিনে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে মহাসমাবেশ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০০৬ সালে পল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের সঙ্গে জামায়াতের কর্মীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ তখন বিএনপি-জামায়াত সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছিল।

জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম  বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে তাঁরা সব সময় মাঠে ছিলেন। সামনে আরো শক্তভাবে মাঠে থাকবেন। তিনি জানান, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করছে তাঁদের পরবর্তী কমসূচি কী হবে।

বিএনপি ও জামায়াতের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, জামায়াতের সঙ্গ নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা মহলের সমালোচনা এবং দলের কিছু নেতার আপত্তিতে দীর্ঘদিনের ২০ দলীয় জোট গত ৯ ডিসেম্বরে কৌশলে ভেঙে দেয় বিএনপি। এরপর যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচিতে জামায়াত রাজপথে ছিল। এরপর যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণায় যোগাযোগ না করা এবং তাদের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া না দেখানোয় ক্ষুব্ধ জামায়াত নিজ দলের কর্মসূচি করলেও যুগপৎ আন্দোলন থেকে বিরত থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিরোধী শক্তির অনৈক্যে পরোক্ষভাবে লাভবান হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। ফলে উভয় দলের নীতিনির্ধারণী মহল নিজেদের মধ্যে ইতিবাচক যোগযোগের মাধ্যমে আগামী ২৮ অক্টোবর যুগপৎ ধারায় ঢাকার রাজপথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন

বিএনপির সঙ্গে একই দিন না হলেও ২৮ অক্টোবরের আগে ও পরে কর্মসূচি রেখেছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ভোট প্রত্যাখ্যানের পর বিএনপির সঙ্গে দলটির যোগাযোগ বেড়েছে। সম্প্রতি ইসলামী আন্দোলনের সহযোগী সংগঠন যুব ও ছাত্র আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ছাত্র ও যুব সমাবেশে অংশ নিয়েছেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আছি। বিএনপির সঙ্গে জোটে না থাকলেও তাদের সঙ্গে দাবি ও মতের মিল আছে। যারাই সুষ্ঠু নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে থাকবে, তাদের কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের সমর্থন থাকবে।’

সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে বিএনপির সঙ্গে একসঙ্গে মাঠে দেখা যাবে কি না জানতে চাইলে তাঁর কৌশলী জবাব, ‘শীত থেকে রক্ষা পেতে মানুষকে একই ধরনের পোশাক পরতে হয়।’

হেফাজত ও অন্যান্য

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদরিস বলেন, বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলের অনেকে হেফাজতের কমিটিতে আছেন। এসব রাজনৈতিক দল কোন জোটে যাবে তা তাদের নিজ সিদ্ধান্তের বিষয়। হেফাজতকে যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে তাঁরা সতর্ক আছেন।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের বলেন, নির্দলীয় সরকারসহ আট দফা দাবিতে তাঁরা মাঠে আছেন। ২৭ অক্টোবর রাজধানীতে গণমিছিলের পর তাঁদের আরো কর্মসূচি আসবে।



আর্কাইভ

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করলো তুরস্ক
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
সাংবাদিককে হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়: মিলার
উপজেলা ভোটে প্রভাব বিস্তার করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
কংগ্রেস পাকিস্তানের ‘মুরিদ’: মোদি
নিউইয়র্কের আদালতে ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা
উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশে অপপ্রচার চালানো হয় : আরাফাত
অর্থ পাচারের মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস
রাফায় অভিযানের হুঁশিয়ারি ইসরাইলের, সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
গ্রেফতার ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ নেতানিয়াহু