
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানাল হামাস
শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানাল হামাস
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় আটক সর্বশেষ জীবিত মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য সমঝোতার অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার এই জিম্মিকে মুক্তি দেয়গাজার শাসক গোষ্ঠীটি। ২১ বছর বয়সী আলেকজান্ডার গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা সীমান্ত থেকে হামাসের হাতে আটক হন। তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি অভিজাত ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘটনাকে ‘সদিচ্ছার একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, যা যুদ্ধ বন্ধের এবং বাকি সব জিম্মিকে মুক্ত করার পথে একটি অগ্রগতি বলে উল্লেখ করেন। এদিকে, আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়ে হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের পর আমরা ইডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিয়েছি যেন একটি যুদ্ধবিরতি হয়, সীমান্ত খুলে যায় এবং আমাদের জনগণের জন্য ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছানো যায়।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনকে আহ্বান জানাই যেন তারা এই নৃশংস যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। এর আগে, ট্রাম্প সোমবার দুপুরে ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্ট দিয়ে আলেকজান্ডারের মুক্তির খবর জানান।
তিনি লেখেন, শেষ জীবিত মার্কিন জিম্মি ইডান আলেকজান্ডার এখন মুক্ত। তার বাবা-মা, পরিবার ও বন্ধুদের অভিনন্দন।
এর পূর্ববর্তী পোস্টে ট্রাম্প বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সদিচ্ছার একটি পদক্ষেপ এবং মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশরের প্রচেষ্টার একটি অংশ- যারা এই নিষ্ঠুর যুদ্ধ বন্ধ এবং সব জীবিত জিম্মি ও মৃতদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে।
আলেকজান্ডার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (আইডিএফ) কর্মরত ছিলেন।
তাকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তার ঘাঁটি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর গাজায় ৫৮৪ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তার মুক্তি ইসরায়েলের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়াই হয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ে কিছু সমন্বয় করেছে তারা।
তার মুক্তির জন্য কোনো যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়নি। তবে ইসরায়েল দুপুর থেকে তাকে হস্তান্তরের জন্য যুদ্ধ স্থগিত রেখেছিল।
আলেকজান্ডারকে মুক্তির সময় বেসামরিক পোশাকে দেখা যায়, মুখোশ পরা যোদ্ধারা তাকে রেড ক্রসের একজন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে ইসরায়েল সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তার পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষায় ছিলেন।