শিরোনাম:
●   লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা ●   বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমছে সাড়ে ৫ বছর ●   বাংলাদেশ-পাকিস্তান ‘ঘনিষ্ঠতা’ ভারতের উদ্বেগ ●   চীনের প্যারেডে যাচ্ছেন পুতিন-কিম, আমন্ত্রণ পাননি পশ্চিমা কোন নেতা ●   বায়ুদূষণে শীর্ষে দুবাই, ঢাকার অবস্থা যা জানা গেল! ●   সিডিসি প্রধানকে বরখাস্ত করল হোয়াইট হাউস ●   প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কমপ্লিট শাটডাউনে’, বুয়েটে পরীক্ষা বয়কট ●   তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান চান প্রধান বিচারপতি ●   প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা, সাউন্ড গ্রেনেড–কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ●   বিশ্বে চীন-রাশিয়া সম্পর্ক সবচেয়ে স্থিতিশীল : শি
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
BBC24 News
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে কেন?
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে কেন?
১০৩২ বার পঠিত
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছে কেন?

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিনিধি: ২০২০ সালের প্রথম মাসেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ১২জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে।ভারতের পক্ষে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি থাকলেও সেটি বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে দুদেশের সরকারি পর্যায়ে শীর্ষ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং বিজিবি বিএসএফ সম্মেলনে বার বার আলোচনা হলেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না।

ভারতীয়দের পক্ষে সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার এবং মৃত্যু বন্ধে প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও অঙ্গীকার করা হয়েছিল যে সীমান্ত হত্যা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, “সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যখন প্রতিশ্রুতি আসে তখন এটা প্রত্যাশিত যে প্রতিশ্রুতিটা কার্যক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু আমরা যেটা দেখছি যে গত প্রায় ২০ বছর ধরে, এ জায়গাটাতে প্রতিশ্রুতির সাথে বাস্তবায়নের সামঞ্জস্য দেখা যাচ্ছে না।”

বিজিবি কিংবা সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিবাদ, উদ্বেগ বা অনুরোধ যে খুব কাজে আসছে না, সেটি অনেকটা স্পষ্ট।

বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সমালোচনা হয় সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের ওপর কতটা চাপ সৃষ্টি করতে পারছে সেটি নিয়েও।

“বাংলাদেশের যেকোনো মানুষের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। এখানে আমাদের কণ্ঠটা একটু সোচ্চার হলে হয়তো ভারতও একটু সক্রিয় হতো”, বলেন হুমায়ুন কবির।

এদিকে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে সীমান্ত হত্যা কিছুটা কমলেও সেটি তিনগুন বেড়েছে ২০১৯ সালে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে ২০১৮ সালে সীমান্তে নিহতের সংখ্যা ১৪জন, যেটি ২০১৯ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৩জনে। সংস্থাটির আরেক পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে সীমান্তে ১৫৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

এ হিসেবে গড়ে প্রতি ১২ দিনে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র উপপরিচালক নীনা গোস্বামী বলেন, সীমান্তে কেউ অপরাধ করলেও হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

“এটা (সীমান্ত হত্যা) অবশ্যই শূণ্যের কোঠায় নেমে আসা উচিৎ। আমরা দেখতে চাই বর্ডার কিলিং একটাও নাই, এমন একটা পরিবেশ এবং সেইরকম একটা সুসম্পর্ক আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তৈরি হয়েছে।”‘আত্মরক্ষা’র যুক্তি বিএসএফ’এর

সীমান্তে গুলি এবং মৃত্যুর প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিএসএফ-এর যুক্তি আত্মরক্ষার।

ভারত এই হত্যাকাণ্ডগুলো কীভাবে দেখছে এবং বাংলাদেশের তৎপরতায় বিএসএফ কতটা চাপের মধ্যে থাকে - এ প্রশ্নে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি সমীর মিত্র বলেন, তাদের ওপর তেমন কোনো চাপ নেই।

“আত্মরক্ষার অধিকার তো সবার আছে। আজকে আমি ইউনিফর্মে আছি বলে আমার কোনো অধিকার নেই, মানুষের এমন ধারণা হলে সেটাতো দুর্ভাগ্য।”

“আমিতো বর্ডারে রয়েছি। যেখানে আমার কাটাতারের বেড়া কাটার চেষ্টা চলছে, সেখানে আমি অ্যাকশন না নিলে কালকে আমার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবে আমার প্রশাসন।তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয় সীমান্ত হত্যার ঘটনায় বিএসএফ এর যুক্তি গ্রহনযোগ্য নয়।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন চলতি মাসে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বেড়ে যাওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন এবং প্রতিটি হত্যার ক্ষেত্রেই জোরালো প্রতিবাদ করা হচ্ছে।

ভারত বাংলাদেশের মধ্যে কোনো যুদ্ধাবস্থা নেই বরং দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতি আর সুসম্পর্ক নিয়ে এখন গৌরব করা হয়। অথচ মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী সীমান্তের অন্যতম কেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, প্রশ্নটা এখানেই।



এ পাতার আরও খবর

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে: ইসহাক দারকে অধ্যাপক ইউনূস পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে: ইসহাক দারকে অধ্যাপক ইউনূস
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের আশাশ: প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের আশাশ: প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের
জনগণের ইচ্ছায় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি : ড. ইউনূস জনগণের ইচ্ছায় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি : ড. ইউনূস
আজ ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু হত্যার ৫০ বছর আজ ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু হত্যার ৫০ বছর
মালয়েশিয়ায় ড. ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা মালয়েশিয়ায় ড. ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে পারে, জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে পারে, জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা
আগস্টে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা আগস্টে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই: মার্কিন দূতকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই: মার্কিন দূতকে প্রধান উপদেষ্টা
সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সেনা সদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

আর্কাইভ

লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা
বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমছে সাড়ে ৫ বছর
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ‘ঘনিষ্ঠতা’ ভারতের উদ্বেগ
চীনের প্যারেডে যাচ্ছেন পুতিন-কিম, আমন্ত্রণ পাননি পশ্চিমা কোন নেতা
বায়ুদূষণে শীর্ষে দুবাই, ঢাকার অবস্থা যা জানা গেল!
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কমপ্লিট শাটডাউনে’, বুয়েটে পরীক্ষা বয়কট
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান চান প্রধান বিচারপতি
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা, সাউন্ড গ্রেনেড–কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ
বিশ্বে চীন-রাশিয়া সম্পর্ক সবচেয়ে স্থিতিশীল : শি
শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন অতিরিক্ত ২৫ বিচারপতি