শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
BBC24 News
সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » সিটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি কেন ?
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » সিটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি কেন ?
৮১৯ বার পঠিত
সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সিটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি কেন ?

---বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিনিধি: ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ীই ছিল ৩০ শতাংশের কম। যদিও বিরোধী দলের হিসাবে ভোট দিয়েছেন আরো কম ভোটার।নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো বলছে, ঢাকা সিটি নির্বাচনে এতো কম ভোটারের উপস্থিতি আর কখনো দেখা যায়নি।এনিয়ে নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছে।

কী বলছেন ভোটাররা?

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ভোট পড়েছে ২৫.৩ শতাংশ। আর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৩০ শতাংশের মতো।কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, তরুণ ভোটারদের বড় একটি অংশ এবার ভোট দিতে যায়নি।

শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী এমন নানা পেশার কয়েকজন যারা ভোট দেননি, তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল, কী কারণে ভোট দেননি তারা?

তাদের একটি বড় অংশ বলেছেন, ভোট দেয়ার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ অনেক কম ছিল।

একজন শিক্ষার্থী বলছিলেন, “ভোট দিতে যেতে অত আগ্রহ পাইনি, কারণ আমরা জানি, আমি ভোট দিলেও যে নির্বাচিত হবে, না দিলেও সে-ই নির্বাচিত হবে।কিভাবে জানেন জানতে চাইলে তার উত্তর ছিল: “আমরা চারপাশে তেমন-ই শুনে আসছি সব সময়।”আরেকজন বলছিলেন, “আমার নির্বাচনের প্রার্থী পছন্দ হয়নি, আর না-ভোটেরও ব্যবস্থা নাই, তাই আমি ভোট দেইনি।”

একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী বলেছেন, “আমি কেন্দ্রে গিয়েছিলাম, কিন্তু গিয়ে দেখি আমার সাথের জনের ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে। তখন ওর সাথে আমিও চলে আসি।আরেকজন ভোটার জানিয়েছেন, “আমার বাসা মোহাম্মদপুর, কিন্তু আমি ভোটার যাত্রাবাড়ীর। রাস্তায় তো গাড়ি চলে নাই, আমি যে যাব, তারপর ফিরে আসব কিভাবে - তাই যাই নাই।”
২৫ বছরেও এমন চিত্র দেখা যায়নি

বাংলাদেশের ইতিহাসে সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচন হচ্ছে উৎসবের মতো।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভোট দেবার ব্যাপারে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর উল্টো চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। বেশিরভাগ মানুষ এদেশে ভোট দিতে যান।নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে স্বাধীনতার পর প্রথম দুই দশকে জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যে ছিল।

নব্বই পরবর্তী সময়ে সেই হার ৭৪ শতাংশ থেকে বেড়ে সাড়ে ৮৭ শতাংশ পর্যন্তও উঠেছিল।

কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন, যা বিরোধী দল বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের বর্জন করেছিল, এবং সব দলের অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচন- এই দুইটি নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন ওঠে। আরেকজন বলছিলেন, “আমার নির্বাচনের প্রার্থী পছন্দ হয়নি, আর না-ভোটেরও ব্যবস্থা নাই, তাই আমি ভোট দেইনি।”

একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী বলেছেন, “আমি কেন্দ্রে গিয়েছিলাম, কিন্তু গিয়ে দেখি আমার সাথের জনের ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে। তখন ওর সাথে আমিও চলে আসি।”

আরেকজন ভোটার জানিয়েছেন, “আমার বাসা মোহাম্মদপুর, কিন্তু আমি ভোটার যাত্রাবাড়ীর। রাস্তায় তো গাড়ি চলে নাই, আমি যে যাব, তারপর ফিরে আসব কিভাবে - তাই যাই নাই।”
২৫ বছরেও এমন চিত্র দেখা যায়নি

বাংলাদেশের ইতিহাসে সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচন হচ্ছে উৎসবের মতো।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভোট দেবার ব্যাপারে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর উল্টো চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। বেশিরভাগ মানুষ এদেশে ভোট দিতে যান।নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে স্বাধীনতার পর প্রথম দুই দশকে জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যে ছিল।

নব্বই পরবর্তী সময়ে সেই হার ৭৪ শতাংশ থেকে বেড়ে সাড়ে ৮৭ শতাংশ পর্যন্তও উঠেছিল।

কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন, যা বিরোধী দল বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের বর্জন করেছিল, এবং সব দলের অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচন- এই দুইটি নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন ওঠে। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, এটি একটি কারণ হতে পারে, তবে প্রধান কারণ নয়

“ভোটারদের আগ্রহ কমে যাওয়ার অনেক কারণ আছে, আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তার প্রভাব তো আছেই। যেমন, আমরা গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছিলাম, সেটা একটা কারণ। অনেকে হয়তো চিন্তা করেছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফলে তাদের কি-আসে-যায়। এসব নানাবিধ কারণই কাজ করেছে এর পেছনে।”

“এছাড়া নির্বাচনে মূলত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তেরা বেশি গেছেন, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো এমন অনেকে ভোট দিতে যান নাই। অনেকে ছুটি পেয়ে ঢাকার বাইরে বেড়াতে চলে গেছেন।”

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচনের তারিখ পেছানো এবং শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ ছিল না। যদিও বিএনপির অভিযোগ, ‘অনিয়মের এ নির্বাচনে’ ভোটার সংখ্যা নির্বাচন কমিশনের তথ্যের চেয়েও কম ছিল।ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন মিলে এই নির্বাচনে প্রায় ৫৫ লাখ ভোটার ছিলেন।



এ পাতার আরও খবর

বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিবে ইতালি: প্রধান উপদেষ্টাকে মাত্তেও বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিবে ইতালি: প্রধান উপদেষ্টাকে মাত্তেও
কোরবানির পশুর চামড়ার ন‍্যায‍্যমূল্য নিশ্চিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা কোরবানির পশুর চামড়ার ন‍্যায‍্যমূল্য নিশ্চিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা
শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ছাড়া-নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ছাড়া-নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
দ্বিতীয় বাংলাদেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা দ্বিতীয় বাংলাদেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ইটালি থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা ইটালি থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন: ড.ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন: ড.ইউনূস
পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন,কাতার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন,কাতার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান টেকসই প্রত্যাবাসন: ড. ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান টেকসই প্রত্যাবাসন: ড. ইউনূস

আর্কাইভ

গাজা ‘দখলের’ পরিকল্পনা ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা অনুমোদন
১২০০ কিলোমিটার পাল্লার অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করলো ইরান
বাংলাদেশ সীমান্তে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আরাকান আর্মি
বাংলাদেশ থেকে আরো জনবল নিবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আগে সংস্কার পরে নির্বাচন : ইইউ রাষ্ট্রদূত
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক
শাপলা চত্বর গণহত্যা: ৯৩ জন শহিদের তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা এখনো প্রমাণ করতে পারেনি ভারত: শাহবাজ
পাকিস্তানের আবদালি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা
ইসরায়েলি নৃশংসতা-গাজায় ২ শতাধিক সাংবাদিক নিহত, জাতিসংঘের সতর্কতা