শিরোনাম:
●   সরকারের উচ্চকক্ষ নিয়ে অনুরোধ রাখেনি বিএনপি ●   আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ●   ভারত ও রাশিয়াকে চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি: ডোনাল্ড ট্রাম্প ●   মহানবী (সা.) জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা ●   থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী চার্নভিরাকুল ●   আর্জেন্টিনার মাটিতে জোড়া গোলে ‘লাস্ট ড্যান্স’ রাঙালেন মেসি ●   বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর ●   মানবতাবিরোধী অপরাধ: অভিযোগপত্র দাখিল হলেই নির্বাচনের অযোগ্য, চাকরিও থাকবে না ●   পররাষ্ট্র সচিব-পিটার হাসের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক কি আলোচনা হয়েছে! ●   নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনের ইঙ্গিত: চীন, রাশিয়া ও ভারতের
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২

BBC24 News
রবিবার, ১৪ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » করোনা: বাংলাদেশে প্রতি সিলিন্ডারে ১৫ হাজার টাকা লাভ !
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » করোনা: বাংলাদেশে প্রতি সিলিন্ডারে ১৫ হাজার টাকা লাভ !
১৫৪৫ বার পঠিত
রবিবার, ১৪ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

করোনা: বাংলাদেশে প্রতি সিলিন্ডারে ১৫ হাজার টাকা লাভ !

---বিবিসি২৪নিউজ,নুরুল ইসলাম,বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে করোনার ১০ হাজার টাকার সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ হাজার টাকায়৷ ইতিমধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুতের হিড়িক পড়েছে৷ সেই সুযোগে কিন্তু ঘরে সিলিন্ডার ব্যবহারে বিপদের শঙ্কাও আছে ৷

কয়েকদিন আগে স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বিপদে পড়েন ঢাকার ফয়সাল আহমেদ৷ কারণ তাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাননি তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালগুলোর অবস্থা খারাপ৷ সেখানে রোগী নিয়ে যেতে ভরসা পাইনি৷” সংক্রমণের ভয়ে তাই বাসায় রেখেই স্ত্রীর চিকিৎসা করানো শ্রেয় মনে করেছেন তিনি৷ ‘‘কিন্তু সেখানেও অক্সিজেনের সংকট আছে৷ তাই ঘরেই সিলিন্ডার কিনে এনেছি,” বলেন ফয়সাল৷

সিলিন্ডারের বাজারের বিষয়ে আগেই তার ধারণা ছিল৷ তারপরও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাকে৷ অন্তত ১৬ জন বিক্রেতার কাছে ধরনা দিয়েছেন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত ২৭ হাজার টাকা খরচ করেছেন, কিন্তু পছন্দের ব্র্যান্ডেরটি কিনতে পারেননি৷ ফয়সাল বলেন, ‘‘করোনা শুরুর সময় সবচেয়ে ভালো একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম ছিলো ১০-১২ হাজার টাকা৷ আর রিফিল করতে লাগত তিনশ টাকা৷ কিন্তু এখন সেই সিলিন্ডারের দাম ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা৷ রিফিল এক থেকে তিন হাজার টাকা৷’’

‘চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা যাচ্ছে না’

একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের সাথে ট্রলি, ফ্লো মিটার, ক্যানোলা ও মাস্ক দেয়া হয়৷ সাধারণত বাড়িতে ব্যবহারের জন্য একটি সিলিন্ডারে এক হাজার ৪০০ লিটারের (১ দশমিক ৪ কিউবিক মিটার) অক্সিজেন থাকে৷ ব্যবহার করা যায় এক হাজার ২০০ মিনিট৷

আগে সিলিন্ডার ভাড়া পাওয়া গেলেও এখন আর তা পাওয়া যাচ্ছে না৷ তার উপর এক প্রতিষ্ঠান থেকে কিনলে আরেক প্রতিষ্ঠান ‘রিফিলও’ করতে চায় না৷ তার বদলে প্রতিটি সিলিন্ডার বিক্রি করে কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকার ব্যবসায় বেশি মনোযোগ বিক্রেতাদের৷

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘লিনডে’ কোম্পানির উৎপাদিত সিলিন্ডারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি৷ এছাড়াও চীন ও তাইওয়ান থেকে আনা সিলিন্ডারও বিক্রি হয়৷ তেজগাঁও কলোনী বাজার এলাকার লিনডের পরিবেশক আবু তাহের৷ তিনি দাবি করেন, সরবরাহ না থাকায় কয়েকদিন ধরে কোম্পানিটির সিলিন্ডার দিতে পারছেন না৷ তবে তিনি ৩৫ হাজার টাকায় এক ধরনের ‘প্রাইভেট’ সিলিন্ডার বিক্রি করেন৷ আর দুই-একদিন পরে লিনডের সিলিন্ডার দিতে পারবেন, কিন্তু দাম পড়বে ৪৫ হাজার টাকা৷ দাম এত বেশি কেন? জানতে চাইলে বলেন, ‘‘এখন চাহিদা অনেক বেশি৷ আর সিলিন্ডারগুলো আমদানি করা হয়৷ চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা যাচ্ছে না৷’’

‘চোখ ও শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে’

পরিবেশকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখন তারা যে সংখ্যক সিলিন্ডার পান তার চেয়ে চাহিদা চার-পাঁচ গুণ বেশি৷ প্রয়োজন না থাকলেও অনেকে আতঙ্কে ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করছেন বলে জানান তারা৷ তাদের কেউ কেউ বিক্রির আগে তাই নিশ্চিত হতে চান গ্রাহকের আসলেই প্রয়োজন আছে কিনা৷ তেমনই একজন পরিবেশক শাকিল আহমেদ৷ তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ইমারজেন্সি অক্সিজেন হোম সার্ভিস’৷ শাকিল বলেন, ‘‘প্রয়োজন না থাকার পরও অনেকেই সিলিন্ডার কিনে বাসায় রেখে দিচ্ছেন৷ তিন-চারটাও কিনে রাখছেন কেউ কেউ৷ তাই আমরা চেষ্টা করছি যাদের আসলেই প্রয়োজন তাদের কাছে বিক্রি করতে৷’’

অক্সিজেন সিলিন্ডার গ্রাহকের বাসায় গিয়ে সরবরাহ করেন অনেক বিক্রেতা৷ কিন্তু এভাবে ঘরে সিলিন্ডার ব্যবহারের ঝুঁকিও আছে৷ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সিলিন্ডারের ব্যবহার এমনকি মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার৷ তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে যাদের প্রয়োজন নাই তারা বাসায় মজুত করছেন৷ যাদের প্রয়োজন তারা পাচ্ছেন না৷ আর রোগীর জন্য অক্সিজেন ব্যবহার কোনো যেকারো কাজ না৷ এর প্রবাহ নির্ধারণ করতে হয়৷ কমাতে হয়, বাড়াতে হয়৷ কতটুকু অক্সিজেন প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে হয়৷ এটা না করে রোগীকে অক্সিজেন দেয়া বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ চোখ ও শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷’’

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে করোনা ভাইরাসের কারণে হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ থাকা ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর হার অনেক বেশি৷ কিন্তু যাদের হৃদরোগ নেই তারাও আক্রান্তের পর হৃৎপিণ্ডের পেশির কোষ মারা যায়৷ তবে ভাইরাসের আক্রমণে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাকি ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের তৈরি রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷



আর্কাইভ

সরকারের উচ্চকক্ষ নিয়ে অনুরোধ রাখেনি বিএনপি
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
ভারত ও রাশিয়াকে চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
মানবতাবিরোধী অপরাধ: অভিযোগপত্র দাখিল হলেই নির্বাচনের অযোগ্য, চাকরিও থাকবে না
পররাষ্ট্র সচিব-পিটার হাসের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক কি আলোচনা হয়েছে!
নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনের ইঙ্গিত: চীন, রাশিয়া ও ভারতের
সি–পুতিন–কিমরা মধ্যাহ্নভোজে কী কী খেলেন
ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বরই হবে : আপিল বিভাগ
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৫০০, চলছে উদ্ধারকাজ