শিরোনাম:
●   কোরবানির পশুর চামড়ার ন‍্যায‍্যমূল্য নিশ্চিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা ●   ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের ●   তুরস্কের আকাশসীমায় বাধা, আজারবাইজান সফর বাতিলে বাধ্য হলেন নেতানিয়াহু ●   পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা এখনো প্রমাণ করতে পারেনি ভারত: শাহবাজ ●   পাকিস্তানের আবদালি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ●   ইসরায়েলি নৃশংসতা-গাজায় ২ শতাধিক সাংবাদিক নিহত, জাতিসংঘের সতর্কতা ●   সিন্ধু নদে বাঁধ দিলে হামলা চালাবে পাকিস্তান: পাক মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ●   গাজায় থামছেই না ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ, নিহত বেড়ে প্রায় ৫৩ হাজার ●   কেন রাশিয়া-ইউক্রেন ‘মধ্যস্থতা’ থেকে সরে গেল আমেরিকা! ●   নতুন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
ঢাকা, সোমবার, ৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

BBC24 News
বুধবার, ১৭ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশের ভিআইপিরা কেন সরকারি হাসপাতালে ওপর ভরসা করতে পারছে না !
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশের ভিআইপিরা কেন সরকারি হাসপাতালে ওপর ভরসা করতে পারছে না !
১৭৫৩ বার পঠিত
বুধবার, ১৭ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশের ভিআইপিরা কেন সরকারি হাসপাতালে ওপর ভরসা করতে পারছে না !

---বিবিসি২৪নিউজ,এম ডি জালাল,ঢাকা: বাংলাদেশে বিত্তবান, প্রভাবশালী,মন্ত্রী, এমপির,পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা কোনোভাবেই সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভর করতে পারছেন না। আগে থেকেই তারা দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে পছন্দ করতেন৷ কিন্তু করোনার কোনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ এবং চিকিৎসা না থাকায় আর বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এবার দেশেই থাকতে হচ্ছে ৷ করোনায় ভিআইপিরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন না ৷ দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় তারা বেসরকারি হাসপাতালে,অথবা সুযোগ পেলে সিএমএইচকে বেছে নিচ্ছেন৷ কেন এমন হচ্ছে?

ধনীরা বেসরকারি হাসপাতালকেই বেছে নিচ্ছেন, এর বাইরে তাদের পছন্দ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)৷ কিন্তু সেখানে বিশেষ অনুমোদন ছাড়া কেউ সুযোগ পাচ্ছেন না৷ কারণ এটা সামরিক বাহিনীর বর্তমান এবং সাবেক সদস্যদের জন্য৷ তবে যারা সুযোগ পাচ্ছেন তারা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন৷

ভিআইপিদের জন্য অবশ্য আলাদা কোভিড হাসপাতালের প্রস্তাব থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা সমালোচনার মুখে হয়নি৷ প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ভিআইপি ব্যবস্থা আছে৷ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বড় বড় হাসপাতালেও ভিআইপি কেবিন আছে৷ আর বিভিন্ন পেশাজীবী আর কর্পোরেট গ্রুপ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের সাথে করোনা চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে রেখেছে৷ সাধারণ মানুষের আশ্রয় সরকারি হাসপাতালই৷

মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য, শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কেউ কেউ এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ মারাও গেছেন কেউ কেউ৷ তবে তাদের বলতে গেলে কেউই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি বা নিচ্ছেন না৷ জানা গেছে ভিআইপিদের বড় অংশটিই আছেন সিএমএইচে৷ তাদের মধ্যে এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যও আছেন৷ আর প্রভাশালীদের কাউকে কাউকে দ্রুত হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও সাধারণ মানুষের জন্য এই সুযোগ নেই৷

---বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক মনে করেন ভিআইপিরা যে সরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন না এটা তাদের ‘মানসিক সমস্যা’৷

তার মতে, ‘‘মন্ত্রী-এমপিরা যার যার এলাকার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে হাসপাতালগুলোর অবস্থা জানতে পারতেন এবং সেগুলোর উন্নতি করতে পারতেন৷ কিন্তু তা হয়নি৷ তারা আসলে জানেনই না যে বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালের অবস্থা কী৷ তাদের আস্থাও নেই৷ এখন করোনার চিকিৎসায় দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় তারা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন৷ সুযোগ থাকলে তারা বিদেশে চলে যেতেন৷ দুই-একজন চার্টার্ড বিমানে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷’’

বিত্তবানেরা চিকিৎসা ব্যবস্থা ছাড়াও হাসপাতালে আরো অনেক সুবিধা চান৷ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘ভিআইপিরা হাসপাতালে একটু আরাম আয়েশে থাকতে চান৷ তাদের টাকা আছে তারা খরচ করছেন৷ বাংলাদেশে কোনো কোনো হাসাপাতালে তো পাঁচতারা হোটেলের সুযোগ সুবিধা আছে৷’’ তবে মন্ত্রী, এমপি বা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সরকারি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা না নেয়া সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি এক ‘এক ধরনের আস্থাহীনতা’ বলে তিনি মনে করেন৷

সাধারণ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান তাদের মধ্যে তিন ধরনের রোগী আছে৷ ১. যারা বিত্তশালী এবং ক্ষমতাবান৷ ২. যারা ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস করেন এবং ৩. যাদের চিকিৎসার ব্যাপারে এখানকার চিকিৎসকেরা আশা ছেড়ে দেন৷

এদের বড় অংশটি যান ভারতে৷ আর ভারতে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্যই বেশি রোগী যান৷ এর বাইরে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে যান বিত্তবানরা৷ ভারত সরকারের হিসাব অনুযায়ী ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে দুই লাখ ২১ হাজার ৫২১ জন বাংলাদেশি চিকিৎসা ভিসায় দেশটিতে গিয়েছেন৷ এর এটা প্রতিবছর কমপক্ষে শতকরা পাঁচ ভাগ হারে বাড়ে৷

বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) তাদের এক পর্যবেক্ষণে জানায় ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা বাবদ দেশের বাইরে গেছে ২০৪ কোটি ডলার৷ তবে বিভিন্ন পর্যায়ে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি হবে বলে জানা গেছে ৷



আর্কাইভ

পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা এখনো প্রমাণ করতে পারেনি ভারত: শাহবাজ
পাকিস্তানের আবদালি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা
ইসরায়েলি নৃশংসতা-গাজায় ২ শতাধিক সাংবাদিক নিহত, জাতিসংঘের সতর্কতা
গাজায় থামছেই না ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ, নিহত বেড়ে প্রায় ৫৩ হাজার
কেন রাশিয়া-ইউক্রেন ‘মধ্যস্থতা’ থেকে সরে গেল আমেরিকা!
নতুন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
ভারতের প্রতি সমর্থন জানালেন যুক্তরাষ্ট্র
ভারতীয় সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের সামরিক মহড়া
শাহবাজ ও জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন