শিরোনাম:
●   ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ●   সেনাবাহিনীর ১৩ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে ●   ভুটান বাংলাদেশের প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ : প্রধান উপদেষ্টা ●   সন্ধ্যায় ঢাকায় দুবার ভূমিকম্প অনুভূত, ভূমিকম্পের সময় কী করবেন, কী করবেন না ●   দেশব্যাপী ভূমিকম্প অনুভূত, ঢাকায় নিহত ৩ ●   মিরপুর টেস্টে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি দিয়েই রাঙালেন মুশফিক ●   বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর ●   বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ●   ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ ●   বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে :জাতিসংঘ
ঢাকা, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩২

BBC24 News
সোমবার, ৭ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | রাজনীতি | শিরোনাম » ঐতিহাসিক ৬ দফা ছিল-বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | রাজনীতি | শিরোনাম » ঐতিহাসিক ৬ দফা ছিল-বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ
১২৬০ বার পঠিত
সোমবার, ৭ জুন ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঐতিহাসিক ৬ দফা ছিল-বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা: জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এটি এক অনন্য প্রতিবাদী ও আত্মত্যাগের সংগ্রামী একটি দিন। ৬ দফার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন যার পরিণতি রূপ নেয় মহান মৃক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। সোমবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। পূর্ব বাংলার মানুষের ওপর জেঁকে বসা পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও নির্যাতনের চাকায় পিষ্ট বাঙালি জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত এই ৬ দফার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন-সংগ্রামই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের পথ রচিত হয়। ৬ দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র সমাজের ৫ দফা দাবি যুক্ত হয়ে ১১ দফা দাবিতে পরিণত হয় এবং এই ১১ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ’৬৯ এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। এই গণঅভ্যুন্থানের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির বিজয় সূচিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশের জনগণ ব্রিটিশ শাসন ও শোষকদের এদেশ থেকে তাড়াতে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ অসহযোগ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালে ঘোষিত ৬ দফাকে তৎকালীন পূর্ববাংলার জনগণ পাকিস্তানিদের এদেশ থেকে তাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছিল। ৬ দফার প্রতিটি দফা বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। আত্মঅধিকার প্রতিষ্ঠার ৬ দফা দ্রুত বাঙালির মুক্তির সনদে পরিণত হয়। ১৯৬৬ সালের ১৩ মে আওয়ামী লীগ আয়োজিত পল্টনের এক জনসভায় ৭ জুন হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জুন মাসব্যাপী ৬ দফা প্রচারে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়। ৭ জুন তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল বেভারেজের শ্রমিক সিলেটের মনু মিয়া গুলিতে প্রাণ হারান। এতে বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তেজগাঁওয়ে ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আজাদ এনামেল অ্যালুমিনিয়াম কারখানার শ্রমিক আবুল হোসেন ইপিআরের গুলিতে শহীদ হন। একই দিন নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের কাছে পুলিশের গুলিতে মারা যান ৬ জন শ্রমিক। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সন্ধ্যায় কারফিউ জারি করা হয়। হাজার হাজার আন্দোলনকারী নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ গ্রেফতার হন। বহু জায়গায় বিক্ষুব্ধ জনতা গ্রেফতারদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলন সারাদেশে স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয় শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের আন্দোলন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম গৌরবময় অধ্যায় হলো ৬ দফা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া। ৬ দফার পক্ষে জনমত সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারা বাংলায় গণসংযোগ আন্দোলন শুরু করেন শেখ মুজিবুর রহমান। এ সময় তাকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় বার বার গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬৬ সালের প্রথম তিন মাসে তিনি ৮ বার গ্রেফতার হন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০-এর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিচালিত ৬ দফা আন্দোলই ছিল সেই সময়ে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার কেন্দ্রবিন্দু। এই ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান অনুষ্ঠিত হয়। ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হন। এর পর ’৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা বাঙালি জাতি বিপুল বিজয় পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। এরপর দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাঙালি বিশ্বের বুকে স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।



এ পাতার আরও খবর

সেনাবাহিনীর ১৩ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সেনাবাহিনীর ১৩ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে
ভুটান বাংলাদেশের প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ : প্রধান উপদেষ্টা ভুটান বাংলাদেশের প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ : প্রধান উপদেষ্টা
সন্ধ্যায় ঢাকায় দুবার ভূমিকম্প অনুভূত, ভূমিকম্পের সময় কী করবেন, কী করবেন না সন্ধ্যায় ঢাকায় দুবার ভূমিকম্প অনুভূত, ভূমিকম্পের সময় কী করবেন, কী করবেন না
দেশব্যাপী ভূমিকম্প অনুভূত, ঢাকায়  নিহত ৩ দেশব্যাপী ভূমিকম্প অনুভূত, ঢাকায় নিহত ৩
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর
বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ
হাসিনার বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত কোনোটিই হয়নি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল হাসিনার বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত কোনোটিই হয়নি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড, চৌধুরী আবদুল্লাহর ৫ বছরের কারাদণ্ডমৃত্যুদণ্ড আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড, চৌধুরী আবদুল্লাহর ৫ বছরের কারাদণ্ডমৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

আর্কাইভ

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
সেনাবাহিনীর ১৩ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে
সন্ধ্যায় ঢাকায় দুবার ভূমিকম্প অনুভূত, ভূমিকম্পের সময় কী করবেন, কী করবেন না
দেশব্যাপী ভূমিকম্প অনুভূত, ঢাকায় নিহত ৩
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর
ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে :জাতিসংঘ
পাকিস্তানের নির্দেশেই শেখ হাসিনার রায় হয়েছে: শুভেন্দু
হাসিনার বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত কোনোটিই হয়নি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের জাতিসংঘের সমর্থন