শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২

BBC24 News
সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | ফটোগ্যালারি | শিরোনাম | সাবলিড » ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত প্রস্তুতির নির্দেশ
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | ফটোগ্যালারি | শিরোনাম | সাবলিড » ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত প্রস্তুতির নির্দেশ
১০১২ বার পঠিত
সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত প্রস্তুতির নির্দেশ

---বিবিসি২৪নিউজ,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ঢাকাঃ আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের জন্য বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

পরাধীনতা থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের এই ভাষণ এক অনন্যসাধারণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এই ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা অর্জনে গেরিলাযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি আজ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবেও স্বীকৃত। এটি বিশ্বে সর্বাধিকবার প্রচারিত অলিখিত ভাষণ।

এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন—‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন।

তার এই ভাষণ ছিল জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার চূড়ান্ত নির্দেশনা।
এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে দিক-নির্দেশনা দেন তিনি। তার ওই ভাষণের মধ্য দিয়েই স্পষ্ট হয়ে ওঠে স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সকল দিক-নির্দেশনা। মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন—‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি…, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাক। ’ ৭ মার্চের এই ভাষণের মধ্যেই স্পষ্ট ছিল পাকিস্তানের শোষণ-নির্যাতন থেকে মুক্ত হতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। পাকিস্তানের শাসন-শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত পর্বে বঙ্গবন্ধু এই ভাষণ দেন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের এই ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) স্বীকৃতি দেয়।

স্বাধীনতার জন্য অদম্য স্পৃহা নিয়ে সংগ্রামরত মুক্তিকামী জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা বাস্তায়নে বঙ্গবন্ধু সেদিন বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন—‘প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ। ’ বঙ্গবন্ধুর ওই নির্দেশের পর ছাত্র, যুবসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের জন্য সেভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।১৯৪৭ সালে ধর্মভিত্তিক ভ্রান্ত দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে চাপিয়ে দেওয়া অসম পাকিস্তান রাষ্ট্রের শাসন-শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে আসে। ধাপে ধাপে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলা বাঙালি পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে আলাদা হতে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে। বাঙালির এই স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ মার্চের এই ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি পাকিস্তানিদের শাসন-শোষণ-নিপীড়ন থেকে নিজেদের মুক্ত করে স্বাধীনতা অর্জনের সুর্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২৫ মার্চের কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে, ওই রাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।



এ পাতার আরও খবর

বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন করে দমন–পীড়ন: এইচআরডব্লিউ বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন করে দমন–পীড়ন: এইচআরডব্লিউ
হামাস-ইসরায়েল শান্তিচুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ উদযাপন হামাস-ইসরায়েল শান্তিচুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ উদযাপন
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: একমত হয়নি রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: একমত হয়নি রাজনৈতিক দলগুলো
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ ডিজির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ ডিজির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চীন থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ চীন থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ
এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ৬ দেশ এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ৬ দেশ
গাজায় যাচ্ছে আরও ১১টি জাহাজ গাজায় যাচ্ছে আরও ১১টি জাহাজ
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব: ড. ইউনূসের জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব: ড. ইউনূসের
জাতিসংঘ–সমর্থিত প্রতিবেদন রোহিঙ্গাদের গ্রাম গুঁড়িয়ে ঘাঁটি বানিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জাতিসংঘ–সমর্থিত প্রতিবেদন রোহিঙ্গাদের গ্রাম গুঁড়িয়ে ঘাঁটি বানিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়িতে নিহত ৩, গুইমারায় থমথমে পরিস্থিতি খাগড়াছড়িতে নিহত ৩, গুইমারায় থমথমে পরিস্থিতি

আর্কাইভ

বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন করে দমন–পীড়ন: এইচআরডব্লিউ
হামাস-ইসরায়েল শান্তিচুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ উদযাপন
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: একমত হয়নি রাজনৈতিক দলগুলো
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ৫ ডিজির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চীন থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ
এক ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে উপসাগরীয় ৬ দেশ
গাজায় যাচ্ছে আরও ১১টি জাহাজ
জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সাত দফা প্রস্তাব: ড. ইউনূসের
জাতিসংঘ–সমর্থিত প্রতিবেদন রোহিঙ্গাদের গ্রাম গুঁড়িয়ে ঘাঁটি বানিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়িতে নিহত ৩, গুইমারায় থমথমে পরিস্থিতি