শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
BBC24 News
মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » আমেরিকা | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ব্লিংকেন-মোমেন বৈঠক: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চাই- যুক্তরাষ্ট্র
প্রথম পাতা » আমেরিকা | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ব্লিংকেন-মোমেন বৈঠক: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চাই- যুক্তরাষ্ট্র
৩৪৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ব্লিংকেন-মোমেন বৈঠক: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চাই- যুক্তরাষ্ট্র

---বিবিসি২৪নিউজ,ফরিদা ইয়াসমিন (ওয়াশিংটন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে: বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তার সঙ্গে একমত পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বিশ্বের দৃষ্টি রয়েছে। এ অঞ্চল এবং সারা বিশ্বের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়, তা নিশ্চিতের বিষয়ে সবার মনোযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (১০ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দুদেশের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পুনরায় অনুরোধ জানান।

এছাড়া বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস উইং জানায়, গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে তাদের প্রাথমিক বক্তব্যে উভয় নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিগত অর্ধশতাব্দীর দৃঢ় সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে আগামী ৫০ বছরের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে বিস্তৃত, গতিশীল ও বহুমুখী উল্লেখ করে ড. মোমেন এই সম্পর্ককে আরও উন্নত, সম্প্রসারিত ও সুদৃঢ় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে ‘জয় বাংলা’ দিয়ে শেষ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রেরিত উষ্ণ বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে তারা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার ও বহুমুখীকরণ, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং নির্বাচনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশে শ্রম খাত সংস্কারের চলমান এবং সম্পন্ন কাজ সম্পর্কে অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে অবহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে দুদেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টাগুলোকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হবে।

অ্যান্টনি ব্লিংকেন বাংলাদেশে শ্রম পরিস্থিতির আরও উন্নতির জন্য দুদেশের মধ্যে চলমান যৌথ কর্মকাণ্ডের অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সদ্ব্যবহার করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।

ড. মোমেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবেলায় উদার সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সাহায্য অব্যাহত রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

---ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দুদেশের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক
১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা আব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রেরিত উষ্ণ বার্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।

প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, ডেপুটি চিফ অব মিশন ফেরদৌসী শাহরিয়ার, মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাউন্সেলর ডেরেক শোল, জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট জুলিয়েটা ভালস নয়েস, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং শ্রম বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট কারা ম্যাকডোনাল্ড, দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট আফরিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন।



আর্কাইভ

বাংলাদেশের সঙ্গে টানাপড়েন মিটমাট করতে আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের
সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দম্পতির
দেশে আরও ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট
১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না: যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
চীন- রাশিয়ার সম্পর্ক ‘নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছে
মোদির জয়ের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে
রাফায় হামলা নিয়ে ইসরাইলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিল ইইউ
দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী আহত, অবস্থা আশঙ্কাজনক