শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » মঙ্গলে বসতি গড়ার স্বপ্ন না দেখে, পৃথিবীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন : ওবামা
মঙ্গলে বসতি গড়ার স্বপ্ন না দেখে, পৃথিবীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন : ওবামা
বিবিসি২৪নিউজ,আইয়ুব উদ্দিন চৌধুরী মুকুল,ইইউ প্রতিনিধি: মঙ্গলে জনবসতি গড়ার স্বপ্ন না দেখে পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখার চেষ্টা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের এক জলবায়ু সংক্রান্ত সম্মেলন থেকে এই বার্তা দেন তিনি। ওবামা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বা পরমাণু যুদ্ধ ঘটে গেলেও পৃথিবী মঙ্গল গ্রহের থেকে অনেক বেশি বাসযোগ্য থাকবে। তাই মঙ্গলে যাওয়ার জন্য এতো অর্থ ব্যয় না করে পৃথিবীর জন্য সেই অর্থ বিনিয়োগ করা উচিত।
এদিকে ওবামা কারও নাম না নিলেও তিনি যে ইলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের মতো টেক-টাইকুনদের উদ্দেশ্যেই এই কথা বলছেন, তা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। এই মার্কিন ধনকুবেররা মহাকাশযান প্রযুক্তির পেছনে শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। এ সপ্তাহেই সফল হয়েছে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর জন্য তৈরি স্টারশিপের পরীক্ষা।
বুধবার প্যারিসের সম্মেলনে ওবামা বলেন, ‘সিলিকন ভ্যালির টাইকুনদের অনেকেই মহাকাশযান বানাচ্ছেন। তাদের ধারণা, পৃথিবীর পরিবেশ খারাপ হতে হতে আর বাসযোগ্য থাকবে না। আর তাই মঙ্গলে জনবসতি গড়ার কথা ভাবছেন তারা। আমি তাদের দিকে তাকিয়ে ভাবি, কী সব বলছেন! পরমাণু যুদ্ধ ঘটে গেলেও পৃথিবী মঙ্গল গ্রহের থেকে অনেক বেশি বাসযোগ্য থাকবে। আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তন থামানোর জন্য কিছুই না করি, তবুও পৃথিবীতে অক্সিজেন থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতদূর জানি মঙ্গলগ্রহে কিন্তু সেটাও নেই। আমার তাই মনে হয়, এই পৃথিবীর যত্ন নেয়ার জন্য আমাদের বিনিয়োগ করা উচিত। জ্ঞান আহরণ ও নতুন আবিষ্কারের জন্য মহাকাশ নিয়ে গবেষণা চলতে পারে, কিন্তু মনুষ্যসমাজের জন্য নতুন বসতি তৈরির জন্য নয়। আমরা এই পৃথিবীতে বসবাসের যোগ্য, তাই এই গ্রহটিকে বাসযোগ্য করে রাখাই অনেক বেশি দরকার।’
ইলন মাস্কের ‘স্পেসএক্স’ তাদের স্টারশিপ মেগা-রকেট তৃতীয় বারের জন্য পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- মঙ্গলগ্রহ মানুষের বসবাসের উপযোগী কি না, তা খতিয়ে দেখা। ২০৫০ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে কয়েক লাখ মানুষ পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদী মাস্ক। অন্যদিকে, জেফ বেজোসের ‘ব্লু ওরিজিন’- আগামী আগস্ট মাসেই তাদের ‘নিউ গ্লেন’ মেগা রকেট পরীক্ষা করতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ওবামার মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। ২০০৯-২০১৭ মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনও জলবায়ু পরিবর্তন থামানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি।




জাপানে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত
বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাবে: সারাহ কুক
ভারতেই থাকবেন কি না, সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাই নেবেন: জয়শঙ্কর
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভর্তি স্থগিত
দিল্লিতে মোদি-পুতিন বৈঠক, ভারত-রাশিয়া কি চুক্তি হয়েছে?
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে আর ৩০টির দেশ
ফিফা শান্তি পুরস্কার জিতলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
পুতিনের ‘উড়ন্ত ক্রেমলিন’ যেন এক রাজপ্রাসাদ, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভরপুর
কেন-স্মার্টফোন-ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না পুতিন
পদত্যাগ করে ভেনেজুয়েলা ছাড়তে চেয়েছিলেন মাদুরো, রাজি হননি ট্রাম্প-রয়টার্স 