শিরোনাম:
●   ১৮ জন বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার ●   ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের মিশন স্থাপন উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন ●   চীন সর্বদা বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু : ওয়াং ই ●   এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫ ●   ইয়েমেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়, ইসরায়েল-আমেরিকা গভীর উদ্বেগ ●   যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি আরও বেড়েছে ●   নেতানিয়াহুকে আকাশপথ দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছে ইতালি, ফ্রান্স, গ্রিস: জাতিসংঘ ●   সরকারি খরচে বিদেশ সফর ও গাড়ি কেনা বন্ধ ●   ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ●   আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা: বিবিসির প্রতিবেদন
ঢাকা, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি আরও বেড়েছে
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি আরও বেড়েছে
৭৫ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি আরও বেড়েছে

---বিবিসি২৪নিউজ,অর্থনৈতিক প্রতিবেদক চট্টগ্রাম :  বিদায়ী অর্থবছরে দেশটির বাণিজ্যঘাটতি বেড়ে ৬২৬ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা এক বছর আগে ছিল ৫০৫ কোটি ডলার।যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয় কম। তবে দেশটিতে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি বেশি। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে পিছিয়ে বা ঘাটতিতে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ঘাটতি আরও বেড়েছে।

এই বাণিজ্যঘাটতি বিবেচনায় এনে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর গত ২ এপ্রিল ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিল দেশটি। তবে আলোচনার সুযোগ রেখে তিন মাস শুল্ক কার্যকর পিছিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সে জন্য গত তিন মাসে আমদানি বাড়িয়ে ঘাটতি কমানোর নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিল সরকার। তবে অর্থবছর শেষে সরকারের এসব উদ্যোগ বাণিজ্যঘাটতি কমায়নি, উল্টো দেশটি থেকে আমদানি কমে ঘাটতি আরও বেড়েছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের হিসাবে, সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের পণ্য। দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল প্রায় ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ দুই দেশের বাণিজ্যে বাংলাদেশের হাতে বাড়তি রয়েছে ৬২৬ কোটি ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছিল প্রায় ৭৬৭ কোটি ডলার। দেশটি থেকে আমদানি হয়েছিল প্রায় ২৬২ কোটি ডলার। তাতে ওই অর্থবছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি ছিল ৫০৫ কোটি ডলার।

দুই অর্থবছরের তুলনা করে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে এ সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। তার বিপরীতে দেশটি থেকে আমদানি কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হলেও ট্রাম্পের সূত্র উল্টো বিপাকে ফেলেছে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের। কারণ, নতুন শুল্ক কার্যকর হলে এই বাজারে রপ্তানি কমে যাবে।ঘাটতি কমাতে সরকারের যা পদক্ষেপ

গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশে পাল্টা শুল্ক আরোপ করার পর বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চিঠি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সেখানে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়।

আলোচনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি গত ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ১১০টি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়, যা ওই দিনই কার্যকর হয়। সব দেশ থেকে আমদানিতে এই শুল্কহার প্রযোজ্য হলেও যুক্তরাষ্ট্র সুবিধা পাবে এমন বিষয় বিবেচনা রেখে এই পদক্ষেপ নেয় সরকার। বেসরকারিভাবে আমদানি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারি কেনাকাটা বাড়ানোর কথাও বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারি পদক্ষেপের প্রভাব কী

সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধার কথা মাথায় রেখে যেকোনো দেশ থেকে ১১০টি পণ্য আমদানিতে কাস্টমস শুল্কছাড় দেওয়া হয়। শুল্কছাড় দেওয়ার পর মাত্র এক মাস সময় পেরিয়েছে। ফলে এই এক মাসে খুব বেশি প্রভাব পড়ার কথা নয়। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া প্রধান কয়েকটি পণ্যের আমদানির হিসাবে কিছু ধারণা পাওয়া যায়।

যেমন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় রড তৈরির কাঁচামাল পুরোনো লোহার টুকরা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই পণ্যটি আমদানি হয় প্রায় ৬৭ কোটি ডলারের। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে আমদানি হয় ৬৮ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। একইভাবে সয়াবিন বীজ আমদানি হয় ৩৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। গত অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ৩৫ কোটি ৩১ লাখ ডলারে। আবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তুলা আমদানি হয় ৩৬ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৫১ লাখ ডলারে।

আমদানি বৃদ্ধি বা কমার বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্পাত ও সয়াবিন বীজ খাতের দুজন উদ্যোক্তা প্রথম আলোকে বলেন, শুল্কহার সব দেশের জন্যই সমান। বাজেটে শুল্কছাড়ও সব দেশের জন্য একই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষির জন্য শুল্কছাড় দেওয়া হলেও তাতে আমদানিতে মোটাদাগে প্রভাব পড়বে না। যে দেশ থেকে কম খরচে ভালো মানের পণ্য আমদানি করা যায় সেখান থেকেই ব্যবসায়ীরা আমদানি করেন।

তবে সয়াবিন বীজ মাড়াই করে প্রাণিখাদ্য তৈরির প্রতিষ্ঠান ডেল্টা এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক বলেন, শুল্কছাড়ের চেয়ে নীতিসহায়তা দেওয়া হলে বরং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ত। যেমন সয়াবিন বীজ থেকে দেশে সয়াবিন তেল ও সয়া কেক উৎপাদন হচ্ছে। সয়াবিন বীজ থেকে প্রস্তুত পণ্য সয়া কেক আমদানিতে শুল্ক নেই। এখন সরকার যদি সয়া কেক আমদানিতে ন্যূনতম শুল্ক কর আরোপ করত তাহলে সয়াবিন বীজ আমদানিও বাড়ত। মানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই সয়াবিন বীজ আমদানি বেশি হতো। নীতিসহায়তা না পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই পণ্যটির আমদানি কমে গেছে।



আর্কাইভ

১৮ জন বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের মিশন স্থাপন উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫
ইয়েমেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়, ইসরায়েল-আমেরিকা গভীর উদ্বেগ
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি আরও বেড়েছে
সরকারি খরচে বিদেশ সফর ও গাড়ি কেনা বন্ধ
আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা: বিবিসির প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপে, দরকষাকষিতে ব্যর্থ বাংলাদেশ আলোচকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
সাবেক সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তাদের ১২ ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল
চীনের কাছ থেকে বড় ক্ষেপণাস্ত্রের চালান পেল ইরান