শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » ফিরে দেখাঃ করোনাকাল ২০২০
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » ফিরে দেখাঃ করোনাকাল ২০২০
১৫৮৪ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ফিরে দেখাঃ করোনাকাল ২০২০

---বিবিসি২৪নিউজ, আরিফুর রহমান, ঢাকাঃ বিদায়ী বছরে বদলে গেছে জীবনযাপনের ধরন। করোনার বছরে মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হয়েছে অনেক শব্দ। বিদায় নিচ্ছে ২০২০। বছরের প্রায় পুরোটা গেল করোনা মহামারিতে। হঠাৎ এই ভাইরাসের কারণে জীবনযাপনের ধরন পাল্টে গেছে। বদলে যাওয়া এই জীবনের নতুন সঙ্গী হয়েছে কতগুলো শব্দ।

ভাষায় নতুন শব্দের প্রবেশ খুব একটা সহজ নয়। প্রয়োজন ও কালের পরীক্ষায় পাস করে কোনো ভাষায় নতুন শব্দ তৈরি হয়। আবার কখনো পুরোনো অপ্রচলিত শব্দ নতুন করে প্রচলিত হয়, কখনো নতুন অর্থ নিয়ে ফিরে আসে। অন্য ভাষা থেকেও এই প্রক্রিয়ায় অনেক শব্দ আসে। কখনো অবিকৃতভাবে, আবার কখনো লোকমুখে সামান্য বিবর্তিত হয়ে।

২০১৯ সালেও অনেকের কাছে যে শব্দগুলো ছিল আনকোরা নতুন বা একেবারে অপ্রচলিত, ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে সে শব্দগুলোই আমাদের জীবনযাপনের নিত্যসঙ্গী হয়েছে। আবার কতগুলো ব্যবহৃত শব্দগুচ্ছ পরিণত হয়েছে নতুন বাগ্‌ধারা, অভিব্যক্তি বা রূপকে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই শব্দগুলো।

করোনা
২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে অজানা একটি ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। গঠনগত দিক থেকে ভাইরাসটি ২০০২ সালের সার্স এবং ২০১২ সালের মার্স রোগের জন্য দায়ী করোনাভাইরাসের কাছাকাছি। নতুন এই ভাইরাসও একই করোনাভাইরাস গোত্রের।

প্রথম দিকে নতুন ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগের কোনো নাম ঠিক হয়নি। তখন রোগটি করোনা নামে পরিচিতি পায়। করোনা শব্দটি এসেছে লাতিন ক্রাউন থেকে, যার অর্থ সূর্য বা অন্য নক্ষত্রের বাইরের আবরণ। করোনাভাইরাস গোত্রের ভাইরাসগুলো দেখতেও এমন।

নতুন করোনাভাইরাসের প্রাথমিক নাম ছিল নভেল করোনাভাইরাস বা এনকোভ বা ২০১৯-এনকোভ। সার্স করোনাভাইরাসের সঙ্গে বেশি মিল থাকায় সার্স কোভ-২ নামেও ডাকা হচ্ছিল। শেষমেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীন ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিফিকেশন অব ডিজিজেস (আইসিডি) ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ’ থেকে নতুন রোগের নাম দেয় কোভিড-১৯।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ কিংবা করোনাভাইরাসের সঙ্গে মিল রেখে আরও কিছু শব্দ চালু হয়ে গেছে। যেমন করোনাকাল, করোনাযুদ্ধ, করোনাজয়। অনেকের কাছে রোগটিই করোনা নামে পরিচিত।

মহামারি, অতিমারি
প্যানডেমিক, এপিডেমিক বা মহামারি শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচয় ছিল অনেকেরই। এগুলো আরও বেশি আলোচনায় আসে করোনাকালে। প্যানডেমিক এসেছে প্রাচীন দুটি গ্রিক শব্দ থেকে। গ্রিক প্যান অর্থ সবাই, আর ডেমোস অর্থ মানুষের ভিড়।

সতেরো শতক থেকে প্যানডেমিক শব্দটির ব্যবহার মূলত এই অর্থে—যে রোগ সব মানুষকে সংক্রমিত করে। বাংলায় এই শব্দের অর্থ এবার করা হয়েছে বৈশ্বিক মহামারি। কেউ কেউ অতিমারিও বলছেন।

প্লেগ, কলেরা, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগগুলো একসময় মহামারি আকারে দেখা গিয়েছিল। বিশ শতকের বড় মহামারি ছিল স্প্যানিশ ফ্লু।

লকডাউন, কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন
কোভিড ১৯ নতুন রোগ। সম্প্রতি এ রোগের টিকা এলেও এখনো তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই মহামারির শুরু থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংক্রমণ মোকাবিলায় জোর দিয়ে এসেছে বেশ কিছু পদ্ধতির ওপর। বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল সেগুলো। এর মধে্য কোয়ারেন্টিন শব্দটি বিদায়ী বছরে নতুন করে আলোচনায় এলেও শব্দটি কিন্তু বেশ পুরোনো। তবে এই সময়ের কোয়ারেন্টিন হলো আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষদের সতর্কতামূলকভাবে ১৪ দিন আলাদা থাকা। এই ব্যক্তিরা সুস্থও হতে পারেন, অথবা অসুস্থ হলেও তাঁদের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।

আর যাঁদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বা পাওয়া না গেলেও শরীরে উপসর্গ আছে, তাঁদের জন্য হলো আইসোলেশন। তাঁদের আলাদা করে রাখতে হবে, যাতে তাঁদের সংস্পর্শে এসে অন্য কেউ সংক্রমিত না হন।

লকডাউন শব্দের আগের অর্থ ছিল মূলত কারাগারে নিরাপত্তার কারণে কোনো কয়েদিকে সব সময় বন্দী রাখা। লক শব্দটির ব্যবহার সে কারণেই। কিন্তু করোনাকালে লকডাউন শব্দের নতুন অর্থ প্রচলিত হয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় কোনো এলাকাকে অবরুদ্ধ করে রাখা, যাতে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এটাই করোনাকালের লকডাউন।

মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই
বিদায়ী বছরটির সবচেয়ে আলোচিত শব্দগুলোর একটি ছিল মাস্ক। শুরুতে মাস্ক পরা নিয়ে ধোঁয়াশাও ছিল। চীনের বিজ্ঞানীরা বলছিলেন, করোনা ঠেকাতে মাস্ক পরতে হবে। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছিল, সবার মাস্ক পরার দরকার নেই। পরে ডব্লিউএইচও সেখান থেকে সরে আসে, প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে মাস্ক পরতে বলে।

শুরুর দিকে বাজারে মাস্কের সংকটও ছিল। দাম ছিলও বেশি। একই অবস্থা বছরের আরেক আলোচিত শব্দ স্যানিটাইজারের ক্ষেত্রেও।

আলোচনায় ছিল পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই। করোনা রোগীদের চিকিৎসক, নার্সরা যেন চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেরা আক্রান্ত না হন, তার জন্য তাঁদের পরতে হয় এই পিপিই।

স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব
বিদায়ী বছরের আরেক আলোচিত শব্দ স্বাস্থ্যবিধি। করোনা থেকে বাঁচতে হলে যে নিয়মগুলো অবশ্যই মানতে হবে, তার মধ্যে আছে ঠিক নিয়মে মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার মানা, সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। এই প্রতিটি শব্দগুচ্ছই বছরব্যাপী আলোচনায় ছিল।

ভাইরাস যাতে হাঁচি–কাশিতে থাকা ড্রপলেট বা জলীয় কণার মাধ্যমে না ছড়ায়, তার জন্য দুজন মানুষের মধ্যে অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব রাখার কথা বলা হয়। এরই নাম দেওয়া হয়েছিল সোশ্যাল ডিসটেন্সিং, যার বাংলা করা হয় সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব।

সম্মুখযোদ্ধা
করোনাকে সামনে থেকে যারা মোকাবিলা করেছেন, বিশেষ করে চিকিৎসক ও নার্স, তাঁরা হলেন করোনার ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়র বা সম্মুখযোদ্ধা। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও করোনাকালের সম্মুখযোদ্ধা।

সারা বিশ্বই অজানা এই ভাইরাসবাহিত রোগের চিকিৎসায় নাজেহাল হয়েছে। চিকিৎসকদের কাজ আরও কঠিন করে দিয়েছিল হাসপাতালের সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ শয্যায় রোগীদের ভিড়। প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে সারা বিশ্বে চিকিৎসক ও নার্সরা কোভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন।

প্রকৃতপক্ষে সব সময়ই চিকিৎসক ও নার্সরাই রোগীদের জীবন বাঁচান। সে অর্থে তাঁরাই সব সময়ের সম্মুখযোদ্ধা। অবহেলিত স্বাস্থ্য খাতে অপ্রতুল সুবিধায় তাঁরা যে কাজটি করছেন, সেটাও আরেক যুদ্ধ। তাই বছরজুড়েই আলোচনায় ছিল সম্মুখযোদ্ধা শব্দটি।

লকডাউন ও সাধারণ ছুটির মধ্যে আরও যাঁরা সামনে এসে সেবা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন জরুরি সেবাদানকারীরা। স্বেচ্ছায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। আরও আছেন পুলিশ, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। আছেন সাংবাদিকেরাও।

কমিউনিটি ট্রান্সমিশন, হার্ড ইমিউনিটি
কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বছরের আরেকটি আলোচিত শব্দ। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গোষ্ঠী সংক্রমণ হলো মহামারি ছড়িয়ে পড়ার সেই ধাপ, যখন অনেক মানুষ মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু তাঁরা কীভাবে আক্রান্ত হলেন, তার কোনো হদিস পাওয়া সম্ভব হয় নয়।

একবার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হলে ভাইরাসের সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনা খুব মুশকিল। এ ক্ষেত্রে অনেকে হার্ড ইমিউনিটিকে (গণরোগ প্রতিরোধ) সমাধান ভাবেন, যা বছরের আরেক আলোচিত শব্দ। এ ক্ষেত্রে বলা হচ্ছিল, কোনো জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগ মানুষ যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাহলে অন্যরা আর আক্রান্ত হবেন না। কারণ, ভাইরাসের বিরুদ্ধে একধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। যদিও করোনা মোকাবিলায় হার্ড ইমিউনিটির এই ধারণা এখনো পুরোপুরি প্রমাণিত হয়নি। ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এখনো নতুন নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে।

সীমিত পরিসরে
এই শব্দগুচ্ছ আলোচনায় আসে সরকারি প্রজ্ঞাপন মারফতে। যদিও সীমিত পরিসর বলতে আসলে কী বোঝানো হচ্ছে, তা কখনোই সংজ্ঞায়ন করা হয়নি।

করোনাকালের দীর্ঘ সাধারণ ছুটি শেষে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে সীমিত পরিসরে সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ সময় প্রথম দিকে সাধারণ মানুষের চলাচল, দোকানপাটের কার্যক্রম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেই সীমিত সময়ের জন্য কার্যক্রমকেই সম্ভবত সীমিত আকার বা সীমিত পরিসর বলে বোঝানো হয়েছিল।

প্লাজমা থেরাপি
বিদায়ী বছরের আলোচিত শব্দগুলোর একটি প্লাজমা থেরাপি। করোনাজয়ী ব্যক্তির রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। সেই প্লাজমা বা হলুদাভ রক্তরস যদি করোনায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে দেওয়া হয়, তবে তার শরীরেও করোনাপ্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হতে পারে। এতে করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হতে পারেন।

হোম অফিস, অনলাইন ক্লাস, জুম
করোনাকালে হোম অফিস সারা বিশ্বেই আলোচিত একটি ধারণা। ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে যখন সবাই ঘরবন্দী, তখন প্রযুক্তির সাহায্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিজেদের ঘর থেকেই সম্পন্ন করেছেন কর্মীরা। এর আগে কোনো মহামারিতে এই মাত্রায় ঘরে থেকে বাইরের কাজ হয়নি। উন্নত বিশ্বে এটি এতটাই সাড়া ফেলেছে যে স্বাভাবিক সময়ে এই ধারণা কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।

কর্মজীবী মানুষের জন্য যেমন হোম অফিস, তেমনি শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাস। বছরের আরেক আলোচিত শব্দ। অনলাইনে বাড়িতে বসেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ক্লাসরুমে অংশ নিচ্ছেন।

এ দুটোই সম্ভব হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপগুলোর মাধ্যমে। আর করোনাকালে যে অ্যাপটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল, সেটি জুম। বিদায়ী বছরের মার্চেও অ্যাপটির কথা তেমন একটা মানুষ জানত না, সেটিই রাতারাতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপে পরিণত হয়।

নিও নরমাল
করোনাকালের আগের পৃথিবী ও করোনাকালের পৃথিবী সম্পূর্ণ আলাদা। মানুষের জীবনযাপনের ধরনও পাল্টে গেছে। আগে সারা দিন মুখে মাস্ক পরে থাকতে হতো না। কিছুক্ষণ পরপর হাত ধোয়া বা পকেটে স্যানিটাইজার নিয়ে ঘোরার ঝক্কি ছিল না। কাজের জায়গা ও ঘরোয়া জীবনে পরিবর্তন এসেছে। আত্মীয়, বন্ধু, এমনকি প্রতিবেশীদের সঙ্গে জড়িত যে সামাজিক জীবন, তাতেও বড় বদল এসেছে। পরিবারের গুরুত্ব বেড়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অর্থনীতি ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে। সব মিলে আগের জীবনের থেকে এ জীবন ভিন্ন। বিদায়ী বছরের অন্যতম আলোচিত শব্দগুচ্ছ নতুন স্বাভাবিক বা নিও নরমাল এটাই।

ভ্যাকসিন
করোনাকাল যত দীর্ঘায়িত হয়েছে, যত বেড়েছে ভাইরাসের প্রকোপ, ততই মানুষ বুঝতে পেরেছে, একমাত্র টিকাই পারে দম বন্ধ করা অবস্থা থেকে পুরোপুরি মুক্তি দিতে। বছরজুড়ে ভ্যাকসিন বা টিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কখন আসবে টিকা? টিকা কি পাবে সবাই? এসব অনেক প্রশ্নের উত্তর মানুষ খুঁজেছে। পৃথিবীব্যাপী বিজ্ঞানীরা টিকা আবিষ্কারে লেগে গেলেন।

অবশেষে বছর শেষে মিলল সুখবর। স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক অনেক দ্রুত সময়ে এবার একাধিক টিকা তৈরি হয়েছে, আরও অনেকগুলো আছে পরীক্ষাধীন। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে করোনার টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষও এখন টিকার অপেক্ষায়।

বিদায়ী বছর ২০২০ ছিল আলোচিত শব্দের বছর। অন্য কোনো বছরে এই পরিমাণ শব্দ নিয়ে বছরব্যাপী আলোচনা হতে দেখা যায়নি। অভিধানগুলোও এ কথা বলছে। অক্সফোর্ড অভিধানের আলোচিত শব্দের মধ্যে আছে করোনাভাইরাস, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন, প্যানডেমিক, লকডাউন, পিপিই, ফেস মাস্ক। এ শব্দগুলোর সঙ্গে কলিনস ডিকশনারির অভিধানে এ বছরের আলোচিত শব্দের তালিকায় আরও আছে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং।

এই শব্দগুলো খুব অল্প সময়ে অনেকগুলো ভাষায় আলোচিত হয়েছে। করোনাকালের পরও কি শব্দগুলো থাকবে? ভাষাবিজ্ঞানী শিশির ভট্টাচার্য্য বলেন, সেটা বলা যায় না। কোয়ারেন্টিন শব্দটি যেমন ৫০০ বছরের বেশি পুরোনো, এখনো টিকে আছে, তেমনি হয়তো লকডাউন টিকে যাবে, আবার সেটা না-ও হতে পারে। অনেক সময় শব্দ আদি অর্থ বদলে টিকে যায়। কিন্তু শেষমেশ কী হবে, সেটা ভাষার ক্ষেত্রে কেউই বলতে পারবে না।



এ পাতার আরও খবর

বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিবে ইতালি: প্রধান উপদেষ্টাকে মাত্তেও বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিবে ইতালি: প্রধান উপদেষ্টাকে মাত্তেও
কোরবানির পশুর চামড়ার ন‍্যায‍্যমূল্য নিশ্চিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা কোরবানির পশুর চামড়ার ন‍্যায‍্যমূল্য নিশ্চিত হবে : প্রধান উপদেষ্টা
শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ছাড়া-নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ছাড়া-নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা
দ্বিতীয় বাংলাদেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা দ্বিতীয় বাংলাদেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ইটালি থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা ইটালি থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন: ড.ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানালেন: ড.ইউনূস
পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন,কাতার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন,কাতার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান টেকসই প্রত্যাবাসন: ড. ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান টেকসই প্রত্যাবাসন: ড. ইউনূস

আর্কাইভ

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যুদ্ধের মহড়ার নির্দেশ
ইউক্রেনের মুহুর্মুহু ড্রোন হামলায় মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
খালেদা জিয়া বাসভবন ফিরোজা’র নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী মোতায়ন
একদিনে ৪ দেশে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু হামলা বহু হতাহত
ঢাকায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
গাজা ‘দখলের’ পরিকল্পনা ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা অনুমোদন
১২০০ কিলোমিটার পাল্লার অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করলো ইরান
বাংলাদেশ সীমান্তে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আরাকান আর্মি
বাংলাদেশ থেকে আরো জনবল নিবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আগে সংস্কার পরে নির্বাচন : ইইউ রাষ্ট্রদূত